বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ‘১৯৭১ সালে বা তার পরেও যারা ওপার বাংলা (বাংলাদেশ) থেকে এসছেন তাদের আমরা প্রত্যেকটা উদ্বাস্তু কলোনিতে জমি পাট্টা দিচ্ছি। অর্থাৎ তাদের নামে হচ্ছে স্থায়ী ঠিকানা ’-পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী
সামনের বছরে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কর্মীসভা করছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা শুরুতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘আমি কোনো ঝগড়া সহ্য করবো না। দলের মধ্যে কোনো বড়-ছোট ফারাক থাকা উচিত নয়। কেউ ভাবেন আমি বড় নেতা হয়ে গেছি। দলকে না ভালোবেসে নিজেকে ভালোবাসবো সেটা করা যাবে না। মানুষের দুর্দিনে যারা থাকবেন তারাই আসল নেতা ’
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) রাজাকারের সঙ্গে তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, ২ হাজার রুপির নোট বাতিলের ঘোষণা দিয়ে এখন বলছেন হবে না। এই রুপি তাদের ঘরে তুলে রেখেছে, যারা সব চেয়ে বেশি তৃণমূল কংগ্রেসকে জালিয়েছে, যে গদ্ধাররা, যে রাজাকাররা, তারা আজ প্রতিদিন পুলিশ দেখলে চোর বলছে, তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখলেই চোর বলছে। কিন্তু আমি বলি চোরের জ্যাঠামশাই তোরা, চোরের নানু তোরা।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি হচ্ছে বড় ডাকাত। এরা ডাকাতদের সরদার। বিজেপি করলেই ওয়াশিং মেশিন, তৃণমূল কংগ্রেস করলেই চোর? গোটা ভারতবর্ষজুড়ে এজেন্সির গণতন্ত্র চলছে। আজ আছে কাল থাকবে না। ইন্ডিয়া জোট সারা ভারতে থাকবে, তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে পশ্চিমবঙ্গে । অন্য কোনো দল নয়।
পশ্চিমবঙ্গের সাবেক খাদ্য ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে, যাতে সে পার্টির কাজ করতে না পারে। ১৫০ জন সংসদ সদস্যকে বহিষ্কার করেছে, যা কোনদিন হয়নি। যা চলছে তা হলো সন্ত্রাস আর অত্যাচার।
পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুদের সাবধান করে তিনি বলেন, ‘বসন্তের কোকিল এসেছে। সংখ্যালঘুরা সাবধান বাংলাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রাখতে হবে, বিজেপি জিতলে অত্যাচার হবে। আমাদের ভুল বুঝবেন না। আপনাদের কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমি পাহারাদার হয়ে থাকবো।’
বিজনেস আওয়ার/২৮ডিসেম্বর/বিএইচ