বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সাইফার মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আইনি ত্রুটি থাকায় ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ও ইমরান খানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারক মিঞাগুল হাসান আওরঙ্গজেব এ স্থগিতাদেশ দেন।
ক্যামেরার মাধ্যমে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী ইমরান খানের বিচার, সাইফার মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচারকাজে গণমাধ্যমের উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ইমরান খানের আইনজীবীরা। তার জবাবে বিচারপতি মিঞাগুল হাসান আওরঙ্গজেব আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সাইফার মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন।
লিখিত আদেশে বিচারপতি মিঞাগুল হাসান বলেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আগের নির্দেশনা অনুসরণ করে বিশেষ আদালত দৈনন্দিন ভিত্তিতে সাইফার মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের বিচারিক কার্যক্রম বাতিল করে দিয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে বিশেষ আদালত এখনো এই মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান খান ও তার সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে দ্বিতীয়বারের মতো সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। তারপর থেকেই আদিয়ালা কারাগারে বিশেষ আদালত চালু করে এই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে সাইফার মামলায় প্রথমবারের মতো ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশিকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু গত নভেম্বরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই মামলাকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ বলে অভিহিত করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপন করে এই মামলা চালানো বেআইনি।
এদিকে, তোশাখানা মামলায় ইমরান খানের সাজা বাতিলের আবেদন দ্রুত শুনানির অনুরোধ গ্রহণ করেননি সুপ্রিম কোর্ট। জানুয়ারির আগে আবেদনটির শুনানি হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আদালত। এতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি হতে যাওয়া পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ইমরান খান।
ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগার বা তোশাখানায় থাকা বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ইমরান খান। গত ৫ আগস্ট এই মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তাছাড়া দোষী সাব্যস্ত ও কারাদণ্ড হওয়ায় ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেন একই আদালত।
বিজনেস আওয়ার/বিএইচ