ঢাকা , সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনসভায় নিহত ব্যক্তি ‘সংঘর্ষে নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে’: কাদের

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 75

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বরিশালের জনসভাস্থলে প্রবেশের সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তি ‘সংঘর্ষে নিহত নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনসভায় মারা যায়নি। হাসপাতালে মারা গেছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে, ডাক্তার তাই বলেছে। কি নানক? (তখন জাহাঙ্গীর কবির নানক পাশের চেয়ারে বসে ছিলেন) ঠিক আছে?

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী সংঘর্ষ দেশে দেশেই হয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশে আরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। তাই বলে সত্যকে আমরা অস্বীকার করব কেন? এটা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। আর কয়টা নিহত হয়েছে, বলেন? নিহত হওয়ার আর কোনো ঘটনা আছে কি? সে তো সংঘর্ষে নিহত হয়নি। একটা লোকের হার্ট অ্যাটাক হতে পার, স্ট্রোক হতে পারে অথবা উত্তেজনা থেকেও হতে পারে। সে মারা গেছে কিন্তু হাসপাতালে। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করব ইনশাআল্লাহ। এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার জন্য সারা বাংলাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের যার যা দায়িত্ব তা পালন করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো, যারা নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেবো না। নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। শেখ হাসিনার জনসভাগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে সেটা দেখেও তারা টের পাচ্ছে না। মানুষ কত উৎসবমুখর, মানুষ কত সতস্ফূর্তভাবে এ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

বিএনপিকে দমনের জন্য ও তাদের নির্বাচনে আসতে না দিতেই আওয়ামী লীগ মামলা-গ্রেপ্তার করছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন- বিএনপি নিজেরাই নিজেদের অপকর্ম, নেতিবাচক রাজনীতির দ্বারা নিজেরাই নিজেদেরকে নিশ্চিহ্ন করেছে। এটার জন্য আর কারো দরকার হবে না। বিএনপির অপরাজনীতি তাদের ধ্বংসের জন্য দায়ী হবে। অন্য কারো প্রয়োজন নেই। বিএনপির অপকর্মই বিএনপিকে গভীর খাদে ফেলে দিয়েছে।

বিএনপি এখন সংলাপ চাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- সংলাপের কথা বলছে? নির্বাচন হোক। নির্বাচন হওয়ার পরে আমরা দেখব সংলাপ করার কোনো সুযোগ আছে কি না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকট তো কিছু আছে। সেটা তো বিশ্ব সংকটের, সেটার জন্য তো আমরা দায়ী না। সংকট যারা সৃষ্টি করছে তারা বড় শক্তি। গরিব দেশ হিসেবে আমরা তার শাস্তি পাচ্ছি। অপরাধটা তাদের, শাস্তি পাচ্ছি আমরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জনসভায় নিহত ব্যক্তি ‘সংঘর্ষে নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে’: কাদের

পোস্ট হয়েছে : ০২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বরিশালের জনসভাস্থলে প্রবেশের সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তি ‘সংঘর্ষে নিহত নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনসভায় মারা যায়নি। হাসপাতালে মারা গেছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে, ডাক্তার তাই বলেছে। কি নানক? (তখন জাহাঙ্গীর কবির নানক পাশের চেয়ারে বসে ছিলেন) ঠিক আছে?

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী সংঘর্ষ দেশে দেশেই হয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশে আরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। তাই বলে সত্যকে আমরা অস্বীকার করব কেন? এটা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। আর কয়টা নিহত হয়েছে, বলেন? নিহত হওয়ার আর কোনো ঘটনা আছে কি? সে তো সংঘর্ষে নিহত হয়নি। একটা লোকের হার্ট অ্যাটাক হতে পার, স্ট্রোক হতে পারে অথবা উত্তেজনা থেকেও হতে পারে। সে মারা গেছে কিন্তু হাসপাতালে। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করব ইনশাআল্লাহ। এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার জন্য সারা বাংলাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের যার যা দায়িত্ব তা পালন করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো, যারা নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেবো না। নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। শেখ হাসিনার জনসভাগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে সেটা দেখেও তারা টের পাচ্ছে না। মানুষ কত উৎসবমুখর, মানুষ কত সতস্ফূর্তভাবে এ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

বিএনপিকে দমনের জন্য ও তাদের নির্বাচনে আসতে না দিতেই আওয়ামী লীগ মামলা-গ্রেপ্তার করছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন- বিএনপি নিজেরাই নিজেদের অপকর্ম, নেতিবাচক রাজনীতির দ্বারা নিজেরাই নিজেদেরকে নিশ্চিহ্ন করেছে। এটার জন্য আর কারো দরকার হবে না। বিএনপির অপরাজনীতি তাদের ধ্বংসের জন্য দায়ী হবে। অন্য কারো প্রয়োজন নেই। বিএনপির অপকর্মই বিএনপিকে গভীর খাদে ফেলে দিয়েছে।

বিএনপি এখন সংলাপ চাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- সংলাপের কথা বলছে? নির্বাচন হোক। নির্বাচন হওয়ার পরে আমরা দেখব সংলাপ করার কোনো সুযোগ আছে কি না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকট তো কিছু আছে। সেটা তো বিশ্ব সংকটের, সেটার জন্য তো আমরা দায়ী না। সংকট যারা সৃষ্টি করছে তারা বড় শক্তি। গরিব দেশ হিসেবে আমরা তার শাস্তি পাচ্ছি। অপরাধটা তাদের, শাস্তি পাচ্ছি আমরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: