আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার ওপর ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার ওই নেতার নাম লি জায়ে-মিউং।
মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি ২০২৪) বুসানের জরুরি কার্যালয় জানিয়েছে, লি শহরের একটি নতুন বিমানবন্দরের নির্মাণস্থল পরিদর্শন করার সময় তার ওপর হামলা করা হয়।
পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খুব অল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় প্রধান বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান লিকে তার ঘাড়ের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়োনহাপ আরও বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য লির কাছে গিয়েছিলেন এবং তার সমর্থক হওয়ার ভান করে সেখানে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে সেই ব্যক্তি তাকে ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার (৭.৯-১১.৮ ইঞ্চি) লম্বা অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন।
ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়াতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ছুরিকাঘাতের পর লি চোখ বন্ধ করে মাটিতে শুয়ে আছেন। এসময় কর্মকর্তারা তার চারপাশে ভিড় করেছিলেন এবং একজন তার ঘাড়ে কাপড় চাপা দিয়ে ধরে ছিলেন।
ইয়োনহাপ জানিয়েছে, ছুরিকাঘাতের পর এই শীর্ষ রাজনীতিবিদের শরীর থেকে রক্তপাত হয়েছে, কিন্তু তিনি জ্ঞান হারাননি।
আল জাজিরা বলছে, লি জায়ে-মিউং ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু রক্ষণশীল ইউন সুক-ইওলের কাছে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এই হামলাকে অগ্রহণযোগ্য বলে আঘ্যায়িত করেছেন এবং অবিলম্বে ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণকারী লি জায়ে-মিউং ২০১০ সালে রাজধানী সিউলের কাছে অবস্থিত সিওংনামের একটি শহরের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এছাড়া তিনি মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবেও কাজ করেন।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ