বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বর্তমানে ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ ব্যবহার করে না এমন মানুষ বিরল। চ্যাটিং বা ভিডিও কলিং ছাড়াও মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্যও এই ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকে। যেকারণে দিন কে দিন বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। তাছাড়া দ্রুত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ বিদায়ী বছরের নভেম্বরে শুধু ভারতেই ৭১ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। নতুন প্রযুক্তি আইন ২০২১ অনুযায়ী এসব ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন কোন হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধ করেছে।
আসলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা আর্থিক প্রতারণার তথ্য গত বছর বারবার উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। কখনও এই মেসেজিং অ্যাপে অপরিচিত নম্বর থেকে ভয়েস কল করে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়েছে তো কখনও লিংক পাঠিয়ে ম্যালওয়্যার ভরে দেওয়া হয়েছে ডিভাইসে। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে বদ্ধপরিকর মেটার মালিকানাধীন অ্যাপটি। এমনকি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতোই এর আগেও বহু অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে সমস্ত নম্বর থেকে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে, সেসব অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
সোমবার প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলা হয়, গত বছরের নভেম্বর মাসেই রেকর্ড পরিমাণ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এমন কী কোনো ইউজারের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার আগেই সাড়ে ১৯ লাখ বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে মাসে ৮ লাখ ৮৪১ ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং প্রতারণার হাত থেকে তাদের রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারের সংখ্যা ৫০০ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। তাই এই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণার জালও বিস্তৃত হচ্ছে। যার ফলে প্রতি মাসে দফায় দফায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ