আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার অনলাইন জগত মেটাভার্সে গেম খেলার সময় ‘ভার্চ্যুয়ালি গণধর্ষণের’ শিকার হয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী। যুক্তরাজ্যের ওই কিশোরী জানিয়েছে, মেটাভার্সে তার অবতারকে গণধর্ষণ করেছে একদল অজ্ঞাত পুরুষ অবতার। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভার্চ্যুয়ালি ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ওই কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ভার্চ্যুয়ালি যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার সময় কিশোরীটি ভার্চ্যুয়াল রিয়েলেটির হেডসেট পরে ছিল। যদিও এ ঘটনায় সে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে বাস্তবে একজন নারী ধর্ষিত হওয়ার পর যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যায়; সে একই অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বে এবারই প্রথমবার ভার্চ্যুয়াল ধর্ষণের ব্যাপারে তদন্ত করা হয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘শিশুটি যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেটি বাস্তবে ধর্ষিত হওয়ার মতো। ভিক্টিমের ওপর আবেগজনিত ও মানসিক প্রভাব পড়েছে। যেটি যে কোনো ধরনের শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে দীর্ঘ।’
‘তবে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ বর্তমান আইনে (আইনগত ব্যবস্থা নিতে) এ ধরনের কোনো কিছু নেই।’ যোগ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ভার্চ্যুয়ালি গণধর্ষণের শিকার হওয়ার আগে ওই কিশোরী কী গেম খেলছিল সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
তবে সত্যিকারের ধর্ষণ মামলাগুলো নিয়েই প্রসিকিউটররা যে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে ভার্চ্যুয়াল ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি পুলিশের এ তদন্তের বিষয়টির পক্ষে কথা বলেছেন।
কী বলছে মেটা
মেটার অনলাইন জগতে একাধিক যৌন অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাজ্যের এ ঘটনার ব্যাপারে মেটার কাছে জানতে চাইলে সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘যে ঘটনার কথা বলছে সেগুলোর কোনো স্থান আমাদের প্ল্যাটফর্মে নেই। এ কারণে আমাদের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা নামের একটি ব্যক্তিগত বাউন্ডারি আছে। যাদের আপনি চেনেন না এই বাউন্ডারি আপনাকে তাদের কাছ থেকে কয়েক ফুট দূরে রাখবে।’
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ