বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন আরও একটি সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। আগে বিতর্কে জড়িয়েছিল টেসলা এবং এক্স (সাবেক টুইটার), এবার আঙুল উঠলো স্পেসএক্সের বিরুদ্ধেও। স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ইলন মাস্ককে ‘বিভ্রান্ত এবং বিব্রতকর’ বলে একটি চিঠি প্রচার করেছিলেন কোম্পানিটির আটজন কর্মী। ওই কর্মীরা বরখাস্ত হয়েছেন কোম্পানি থেকে।
আট কর্মীর ওই ছাঁটাই অবৈধ বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন শ্রম সংস্থা ‘ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ড’ (এনএলআরবি)। অভিযোগ, ইলন মাস্কের সমালোচনাকারী আট কর্মীকে বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত করেছিল রকেট ও স্যাটেলাইট নির্মাতা সংস্থাটি।
অভিযোগপত্রে ন্যাশনাল লেবর রিলেশনস বোর্ডের (এনএলআরবি) একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা বলেছেন, কর্মস্থলে পরিবেশের উন্নতির জন্য সহকর্মীদের যৌথভাবে পরামর্শ দেওয়াকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইন। কিন্তু স্পেসএক্স কর্মীদের সেই অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, খোলা চিঠির সঙ্গে জড়িতদের ছাটাই করার আগে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল।
ভুক্তভোগী কর্মীদের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, স্পেসএক্সে কাজের পরিবেশ ‘বিষাক্ত’ এবং সেখানে হয়রানি সহ্য করা হয়। এনএলআরবির সাধারণ কাউন্সেল একজন প্রসিকিউটরের মতো কাজ করেন এবং সংগঠনের সভাপতি নিযুক্ত পাঁচ সদস্যের বোর্ডের কাছে মামলা নিয়ে যান।
এখন স্পেসএক্স তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিষ্পত্তি না করলে একজন প্রশাসনিক বিচারকের মাধ্যমে মামলাটির শুনানি হবে। তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বোর্ডে এবং তারপর একটি ফেডারেল আপিল আদালতে আপিল করা যেতে পারে। আগামী ৫ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এনএলআরবি যদি দেখতে পায়, ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে স্পেসএক্স শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছে, তবে সেটি কর্মীদের পুনর্বহাল করা এবং পাওনা বেতন পরিশোধের আদেশ দিতে পারে। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কর্মীদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নতুন নয়। গত বছরের অক্টোবরে এনএলআরবি অভিযোগ করেছিল, টুইটের জেরে এক কর্মীকে বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত করেছে এক্স। যদিও ওই ঘটনায় ভুল কিছু করার অভিযোগ অস্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটি।
মাস্কের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা টেসলাও বেশ কয়েকবার এনএলআরবির অভিযোগের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগ ছিল, টেসলার কারখানাগুলোতে বর্ণবৈষম্য রয়েছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে টেসলা।
বিজনেস আওয়ার/৪জানুয়ারি/বিএইচ