ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি দিতে এসেছি, নিতে আসিনি- দিলীপ আগরওয়ালার

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • 54

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ আগরওয়ালার সমর্থনে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ এ জনসভায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে জনসভামঞ্চে হাজার হাজার জনতা উপচে পড়া ভিড় ছিলো। মূহুর্তের মধ্যে বিশাল মাঠ মানুষের ভিড়ে একাকার হয়ে যায়। সেখানে ঈগল প্রতীকের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। সবার হাতে দেখা যায় ঈগল প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। সমাবেশে জেলা, ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা গত ১৫ বছরে এ এলাকার বিভিন্ন অনিয়ম ও বঞ্চনার কথা কথা তুলে ধরেন। জনসভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেন। তিনি জানান, জনগণকে আমি দিতে এসেছি, নিতে আসিনি। রাস্তাঘাট তৈরি, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওয়াদা করেন। এসময় হাজার হাজার জনতা তুমুল করতালি দিয়ে ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

আবেগঘন বক্তব্যে দিলীপ আগরওয়ালা বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো দাদা। আমার জন্ম চুয়াডাঙ্গাতে। এখানেই আমার নাড়ি পোতা আছে। এই শহরের ওলি গলি আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। চুয়াডাঙ্গার মাটিতে আমি বড় হয়েছি। এই মাটির কাছে আমি চির ঋনী। সেই ছোটবেলা থেকে এ মাটির ঋণ পরিশোধ করার তীব্র আকাংখা কাজ করছে আমার ভিতর। আপনারা জানেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমি হয়তো অল্প কিছু মানুষের পাশে দাড়াতে পেরেছি। কিন্তু সামগ্রিক চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারছি না। আমি হাসপাতালে ১০ টি হুইল চেয়ার দিতে পারি। ২/৩ টি ফ্রি এম্বুলেন্স দিতে পারি। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা / চিকিৎসার পরিবেশ ভালো করার ক্ষমতা ব্যক্তিগতভাবে আমার নেই। আমি স্কুল কলেজে বই দিতে পারি। ক্রীড়া সামগ্রী দিতে পারি। কিন্তু শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখতে পারি না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বানিজ্য নিয়ন্ত্রণে, কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যদি আমাকে ঈগল পাখি মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। কথা দিলাম, স্কুল কলেজে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন শিক্ষককে এক টাকাও দিতে হবে না। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে চুয়াডাঙ্গায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবো। ইচ্ছা আছে ৫০০ শয্যার একটি হসপিটাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার।

দিলীপ আগরওয়ালা আরও বলেন, এলাকার গরীব অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য আমি শীতকালে কম্বল দিতে পারি, বর্ষায় ছাতা দিতে পারি, দু:স্থদের খাবার দিতে পারি। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব। আমি করে যাচ্ছি। কিন্তু এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারি না। এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে পারি না। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সকল ভাতার সুষ্ঠ বন্টনে ব্যবস্থা নিতে পারি না। তাই, আমি সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন করার লক্ষ্যে মহান জাতীয় সংসদে যেতে চাই। যদি আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন, তাহলে আপনাদের পাশে থেকে সবসময় এই এলাকার উন্নয়ন করে যাবো। যারা আমার ঈগল পাখি মার্কায় ভয় ভীতি উপেক্ষা করে কাজ করছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা ভয় পাবেন না, ঈগল পাখির জোয়ারে সকল অন্যায় ভেসে যাওয়ার সময় এসেছে। সৃষ্টিকর্তা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য,এই অবহেলিত চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য আমি কাজ করতে চাই। কথা দিলাম, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি , চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বানিজ্য, মাদক বানিজ্য সহ সকল অপকর্ম আপনাদের সাথে নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে নিরসন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার সম্মানিত ঈমাম-মুযাজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ওলামায়ে কেরামগণ, আপনারা সমাজের দর্পণ। আপনাদের আমি মন থেকে পছন্দ করি, আপনারা এই সমাজকে আলোর পথ দেখান।

সমাজকে আলোকিত করেন। আপনারা আমার হৃদয়ের মনিকোঠায় আছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলাতে কখনো কোন ওয়াজ মাহফিল হলে আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা সব সময় থাকবে। এবং আমাকে দাওয়াত দিলে আমি সেই মাহফিলে উপস্থিত থেকে সাধুবাদ জানাবো।আপনারা জানেন মসজিদ-মাদ্রাসায় আমি সবসময় সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আসছি। আমি আপনাদের ঈজ্জত করি, সম্মান করি। আমি আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী। আমি দিলীপ। আপনাদের সন্তান। আমি দিলীপ। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ছিলেন।আমিও একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। আমি অনুদান দেয়ার ক্ষেত্রে মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা বিবেচনা করি না। আমার প্রতিষ্ঠানে চাকরীর ক্ষেত্রেও হিন্দু-মুসলিম বিবেচনা করি না। আমার কাছে কেউ সাহায্যের জন্য হাত পাতলে আমি জিজ্ঞেস করি না, আপনি হিন্দু না মুসলিম। আজ একটা গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। অপপ্রচার চালাচ্ছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়ার পরেও ,পাকিস্তানী শাসকরা ক্ষমতায় বসতে দেয়নি। ওই পাকিস্তানি শাসকদের উত্তরসুরী বাংলাদেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকার-আলবদর ও ধর্মীয় লেবাসধারীরা এই নির্বাচনে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। অসংখ্য মামলার আসামী ও সন্ত্রাসী, আজ ধর্মীয় লেবাস পরে আমার বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছে। অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এই অপপ্রচারের জবাব আপনারা দিবেন। আজ তারা আমাকে ধর্মের দোহাই দিয়ে মসজিদে-মাদ্রাসায় উস্কানি দিচ্ছে। আমি তো কখনো জাত পাত দেখিনি। হিন্দু মুসলিম ব্যবধান করিনি। আমার কাছে, যারাই এসেছে । আমি তো তাদের মানুষ হিসেবেই দেখেছি। তবে আজ কেনো এই বিভাজন করছো? ভোটের জন্য। শুধু ভোটের জন্যই কী এই সব ধর্মীয় উস্কানী? ৭ তারিখে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে আপনারা বুঝিয়ে দিবেন, এই নির্বাচনে ধর্মীয় অপপ্রচারের কোন স্থান নেই। আপনারা বুঝিয়ে দিবেন “দিলীপ আপনাদের সন্তান”

দিলীপ কুমার আরও বলেন, এই চুয়াডাঙ্গার মাটির গন্ধ আমাকে প্রশান্তি দেয়। তাই এ মাটির ঋন পরিশোধের জন্য আমি একবার সুযোগ চাই। মাত্র একবার আপনারা আমাকে সুযোগ দিন। কথা দিলাম। পালটে দেবো এই জনপদের চিত্র। সৃষ্টি কর্তা আমাকে অনেক অর্থ সম্পদ দিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জনগণকে আমি দিতে এসেছি। আমি নিতে আসিনি। আমি আপনাদের ভালোবাসা নিতে এসেছি। আপনাদের সেবক হয়ে সেবা করতে এসেছি। আপনারা আমাকে ভালোবেসে ৭ জানুয়ারি ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়ী করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন। আমি আপনাদের সেবক হয়ে থাকতে চাই।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আমি দিতে এসেছি, নিতে আসিনি- দিলীপ আগরওয়ালার

পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ আগরওয়ালার সমর্থনে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ এ জনসভায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে জনসভামঞ্চে হাজার হাজার জনতা উপচে পড়া ভিড় ছিলো। মূহুর্তের মধ্যে বিশাল মাঠ মানুষের ভিড়ে একাকার হয়ে যায়। সেখানে ঈগল প্রতীকের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। সবার হাতে দেখা যায় ঈগল প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। সমাবেশে জেলা, ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা গত ১৫ বছরে এ এলাকার বিভিন্ন অনিয়ম ও বঞ্চনার কথা কথা তুলে ধরেন। জনসভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেন। তিনি জানান, জনগণকে আমি দিতে এসেছি, নিতে আসিনি। রাস্তাঘাট তৈরি, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওয়াদা করেন। এসময় হাজার হাজার জনতা তুমুল করতালি দিয়ে ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

আবেগঘন বক্তব্যে দিলীপ আগরওয়ালা বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো দাদা। আমার জন্ম চুয়াডাঙ্গাতে। এখানেই আমার নাড়ি পোতা আছে। এই শহরের ওলি গলি আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। চুয়াডাঙ্গার মাটিতে আমি বড় হয়েছি। এই মাটির কাছে আমি চির ঋনী। সেই ছোটবেলা থেকে এ মাটির ঋণ পরিশোধ করার তীব্র আকাংখা কাজ করছে আমার ভিতর। আপনারা জানেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমি হয়তো অল্প কিছু মানুষের পাশে দাড়াতে পেরেছি। কিন্তু সামগ্রিক চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারছি না। আমি হাসপাতালে ১০ টি হুইল চেয়ার দিতে পারি। ২/৩ টি ফ্রি এম্বুলেন্স দিতে পারি। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা / চিকিৎসার পরিবেশ ভালো করার ক্ষমতা ব্যক্তিগতভাবে আমার নেই। আমি স্কুল কলেজে বই দিতে পারি। ক্রীড়া সামগ্রী দিতে পারি। কিন্তু শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখতে পারি না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বানিজ্য নিয়ন্ত্রণে, কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যদি আমাকে ঈগল পাখি মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। কথা দিলাম, স্কুল কলেজে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন শিক্ষককে এক টাকাও দিতে হবে না। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে চুয়াডাঙ্গায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবো। ইচ্ছা আছে ৫০০ শয্যার একটি হসপিটাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার।

দিলীপ আগরওয়ালা আরও বলেন, এলাকার গরীব অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য আমি শীতকালে কম্বল দিতে পারি, বর্ষায় ছাতা দিতে পারি, দু:স্থদের খাবার দিতে পারি। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব। আমি করে যাচ্ছি। কিন্তু এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারি না। এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে পারি না। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সকল ভাতার সুষ্ঠ বন্টনে ব্যবস্থা নিতে পারি না। তাই, আমি সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন করার লক্ষ্যে মহান জাতীয় সংসদে যেতে চাই। যদি আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন, তাহলে আপনাদের পাশে থেকে সবসময় এই এলাকার উন্নয়ন করে যাবো। যারা আমার ঈগল পাখি মার্কায় ভয় ভীতি উপেক্ষা করে কাজ করছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা ভয় পাবেন না, ঈগল পাখির জোয়ারে সকল অন্যায় ভেসে যাওয়ার সময় এসেছে। সৃষ্টিকর্তা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য,এই অবহেলিত চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য আমি কাজ করতে চাই। কথা দিলাম, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি , চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বানিজ্য, মাদক বানিজ্য সহ সকল অপকর্ম আপনাদের সাথে নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে নিরসন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার সম্মানিত ঈমাম-মুযাজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ওলামায়ে কেরামগণ, আপনারা সমাজের দর্পণ। আপনাদের আমি মন থেকে পছন্দ করি, আপনারা এই সমাজকে আলোর পথ দেখান।

সমাজকে আলোকিত করেন। আপনারা আমার হৃদয়ের মনিকোঠায় আছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলাতে কখনো কোন ওয়াজ মাহফিল হলে আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা সব সময় থাকবে। এবং আমাকে দাওয়াত দিলে আমি সেই মাহফিলে উপস্থিত থেকে সাধুবাদ জানাবো।আপনারা জানেন মসজিদ-মাদ্রাসায় আমি সবসময় সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আসছি। আমি আপনাদের ঈজ্জত করি, সম্মান করি। আমি আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী। আমি দিলীপ। আপনাদের সন্তান। আমি দিলীপ। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ছিলেন।আমিও একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। আমি অনুদান দেয়ার ক্ষেত্রে মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা বিবেচনা করি না। আমার প্রতিষ্ঠানে চাকরীর ক্ষেত্রেও হিন্দু-মুসলিম বিবেচনা করি না। আমার কাছে কেউ সাহায্যের জন্য হাত পাতলে আমি জিজ্ঞেস করি না, আপনি হিন্দু না মুসলিম। আজ একটা গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। অপপ্রচার চালাচ্ছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়ার পরেও ,পাকিস্তানী শাসকরা ক্ষমতায় বসতে দেয়নি। ওই পাকিস্তানি শাসকদের উত্তরসুরী বাংলাদেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকার-আলবদর ও ধর্মীয় লেবাসধারীরা এই নির্বাচনে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। অসংখ্য মামলার আসামী ও সন্ত্রাসী, আজ ধর্মীয় লেবাস পরে আমার বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছে। অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এই অপপ্রচারের জবাব আপনারা দিবেন। আজ তারা আমাকে ধর্মের দোহাই দিয়ে মসজিদে-মাদ্রাসায় উস্কানি দিচ্ছে। আমি তো কখনো জাত পাত দেখিনি। হিন্দু মুসলিম ব্যবধান করিনি। আমার কাছে, যারাই এসেছে । আমি তো তাদের মানুষ হিসেবেই দেখেছি। তবে আজ কেনো এই বিভাজন করছো? ভোটের জন্য। শুধু ভোটের জন্যই কী এই সব ধর্মীয় উস্কানী? ৭ তারিখে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে আপনারা বুঝিয়ে দিবেন, এই নির্বাচনে ধর্মীয় অপপ্রচারের কোন স্থান নেই। আপনারা বুঝিয়ে দিবেন “দিলীপ আপনাদের সন্তান”

দিলীপ কুমার আরও বলেন, এই চুয়াডাঙ্গার মাটির গন্ধ আমাকে প্রশান্তি দেয়। তাই এ মাটির ঋন পরিশোধের জন্য আমি একবার সুযোগ চাই। মাত্র একবার আপনারা আমাকে সুযোগ দিন। কথা দিলাম। পালটে দেবো এই জনপদের চিত্র। সৃষ্টি কর্তা আমাকে অনেক অর্থ সম্পদ দিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জনগণকে আমি দিতে এসেছি। আমি নিতে আসিনি। আমি আপনাদের ভালোবাসা নিতে এসেছি। আপনাদের সেবক হয়ে সেবা করতে এসেছি। আপনারা আমাকে ভালোবেসে ৭ জানুয়ারি ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়ী করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন। আমি আপনাদের সেবক হয়ে থাকতে চাই।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: