বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: লাতিন আমেরিকা দেশের ইকুয়েডরে অপরাধী চক্রের সাথে সহিংসতায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুই কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ১০ জন নিহত। মঙ্গলবার দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট এই ঘটনাকে ‘অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইকুয়েডরের লস ক্রোনেরস নামের একটি মাদকচক্রের নেতা এডলফো মাসিয়াস গত রোববার কারাগার থেকে পালিয়ে যান। এরপর ইকুয়েডরের সরকার অপরাধীচক্রগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর শুরু হয় সংঘাত।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বন্দর নগরী গুয়োকিলে ধারাবাহিক হামলায় আটজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
এক্স-এ পোস্ট করা একটি পৃথক বিবৃতিতে পুলিশ আরও বলেছে, নোবোল শহরে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘সশস্ত্র অপরাধী চক্র’ নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
‘লস ক্রোনেরস’ অপরাধ দলের নেতা এডলফো মাসিয়াস পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট নোবোয়া সোমবার দেশব্যাপী ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা এবং রাতে কারফিউ ঘোষণা করেছে। এর জেরে বিভিন্ন অপরাধী গ্যাংগুলো পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে।
মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি শহরে বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী কিতোতে সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে অপহরণ করে অপরাধীরা। এছাড়াও গুয়াকিল শহরের রাষ্ট্রায়ত্ত টিসি টেলিভিশনের স্টুডিওতে বন্দুক ও বিস্ফোরক নিয়ে হামলা চালায় দুর্বত্তরা। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ৩৬ বছর বয়সী ড্যানিয়েল নোবোয়া। তিনি মাদক-সংশ্লিষ্ট সহিংসতা দূর করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি সামরিক অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রগুলোকে ‘প্রতিহত’ করার নির্দেশ দেন। তিনি এই সংগঠনগুলোকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ ও ‘যুদ্ধবাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী মহল’ হিসেবে অভিহিত করেন।
লাতিন আমেরিকার শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ব্রায়ান নিকোলস বলেছেন, সহিংসতা এবং অপহরণের কারণে ওয়াশিংটন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। নোবোয়ার দলকে সহায়তা প্রদান ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/বিএইচ