ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের রাজনৈতিক কারণে কারাগারে যেতে হয়নি: আইনমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • 47

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের যারা কর্মী রয়েছে, তাদের কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কারাগারে যেতে হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাদের কারাগার যেতে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।’

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল, ২০১৩ সালে যে অগ্নিসংযোগ করেছিল… সে মামলাগুলো থেকেই এখন বিচারকার্য সম্পন্ন হচ্ছে। বিচারকার্য আদালত করেন, সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময়ে আপনারা যে সহিংসতার কথা বলছেন, সেটি কিন্তু প্রায় ছিলই না। যেকোনো দেশে দলীয় কর্মীদের মধ্যে এ লড়াই কিছুটা হয়ই, এবারও ততটুকুই ঘটেছে। এমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি, যাতে কেউ মনে করবে বড় সহিংসতা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সুশাসন নিশ্চিত করায় জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের প্রতি যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটির যথাযথ উন্নয়ন সাধনের চেষ্টা করেছে আইন মন্ত্রণালয়৷ এর কারণ হচ্ছে, করোনাকালে সারা বিশ্বের সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ে। বিচারিক ব্যবস্থার মধ্যেও স্থবিরতা চলে এসেছিল৷ আমরা তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপন করে বিচার ত্বরান্বিত করেছি। তখন কারাগারে যাতে জটিলতা সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থাও করেছি। অনেক মামলা শেষ করেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমরা অনেক আইন করেছি৷ বিশেষ করে সাক্ষ্য আইন৷ সাক্ষ্য আইনের সংশোধন মানুষ চাচ্ছিল। এ আইনে নারীদের ইজ্জতের বিষয় ছিল। আমার মনে হয় এই সাক্ষ্য আইন সংশোধনটা একটা বিরাট পদক্ষেপ। আরও অনেক আইন করেছি।’

‘নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে যে আইন সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী করেছি, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগ যথেষ্ট কাজ করেছে। এতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমার মনে হয় এভাবে কাজ করে গেলে যেটা আমাদের অগ্রাধিকার… বিশেষ করে মামলা জটের বিষয়টি। বহুদিন যাবৎ মামলা জটের কারণে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে আমাদের ১০ থেকে ১৫ বছর অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হয়েছে। আমার মনে হয় আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।’

আনিসুল হক বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে আমাদের অঙ্গীকার হলো— জাতির পিতাকে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত যারা দেশের বাইরে রয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার যে চেষ্টা আমরা করছি… সেটির একটা সফলতা আনা।’

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের রাজনৈতিক কারণে কারাগারে যেতে হয়নি: আইনমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের যারা কর্মী রয়েছে, তাদের কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কারাগারে যেতে হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাদের কারাগার যেতে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।’

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল, ২০১৩ সালে যে অগ্নিসংযোগ করেছিল… সে মামলাগুলো থেকেই এখন বিচারকার্য সম্পন্ন হচ্ছে। বিচারকার্য আদালত করেন, সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময়ে আপনারা যে সহিংসতার কথা বলছেন, সেটি কিন্তু প্রায় ছিলই না। যেকোনো দেশে দলীয় কর্মীদের মধ্যে এ লড়াই কিছুটা হয়ই, এবারও ততটুকুই ঘটেছে। এমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি, যাতে কেউ মনে করবে বড় সহিংসতা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সুশাসন নিশ্চিত করায় জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের প্রতি যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটির যথাযথ উন্নয়ন সাধনের চেষ্টা করেছে আইন মন্ত্রণালয়৷ এর কারণ হচ্ছে, করোনাকালে সারা বিশ্বের সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ে। বিচারিক ব্যবস্থার মধ্যেও স্থবিরতা চলে এসেছিল৷ আমরা তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপন করে বিচার ত্বরান্বিত করেছি। তখন কারাগারে যাতে জটিলতা সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থাও করেছি। অনেক মামলা শেষ করেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমরা অনেক আইন করেছি৷ বিশেষ করে সাক্ষ্য আইন৷ সাক্ষ্য আইনের সংশোধন মানুষ চাচ্ছিল। এ আইনে নারীদের ইজ্জতের বিষয় ছিল। আমার মনে হয় এই সাক্ষ্য আইন সংশোধনটা একটা বিরাট পদক্ষেপ। আরও অনেক আইন করেছি।’

‘নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে যে আইন সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী করেছি, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগ যথেষ্ট কাজ করেছে। এতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমার মনে হয় এভাবে কাজ করে গেলে যেটা আমাদের অগ্রাধিকার… বিশেষ করে মামলা জটের বিষয়টি। বহুদিন যাবৎ মামলা জটের কারণে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে আমাদের ১০ থেকে ১৫ বছর অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হয়েছে। আমার মনে হয় আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।’

আনিসুল হক বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে আমাদের অঙ্গীকার হলো— জাতির পিতাকে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত যারা দেশের বাইরে রয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার যে চেষ্টা আমরা করছি… সেটির একটা সফলতা আনা।’

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: