ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে’

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • 44

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সেনাবাহিনী হলো দেশের সম্পদ ও মানুষের ভরসা বিশ্বাসের প্রতীক। বাংলাদেশের জনগণ এরা তো আপনাদেরই আপনজন। আপনাদের পরিবারেরই সাথী। তাই দেশপ্রেম ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১১ অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট/সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সাভার সেনানিবাসে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।

তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে আধুনিকায়নে এবং যুগের সাথে সাথে তারা তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কারণ এই প্রতিরক্ষা নীতিমালা জাতির পিতা আমাদেরকে দিয়ে গেছে, সেখানে একটা সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনাও ছিল। আর সেটাই আজকে আমরা অনুসরণ করে যাচ্ছি।

পতাকা, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই পতাকা। এই পতাকা হচ্ছে একটি জাতির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। এই পতাকার মান রক্ষা করা, প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। প্রতিটি সৈনিক এবং আমি মনে করি সকল জনসাধারণ সবারই দায়িত্ব এই পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা। কারণ এটাই হচ্ছে আমাদের একটা প্রতীক, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যাতায়াত সীমিত হয়ে গেছে। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চেয়েছি, আপনারা সময়মতো যেন পতাকাপ্রাপ্তির অধিকারটা অর্জন করেন, যেন বঞ্চিত না হন। আপনারা এই গৌরব অর্জন করেছেন, আমি আশা করি, জাতির আস্থা বিশ্বাস অটুট থাকবে, দেশ সেবায় আপনারা আত্মনিয়োগ করবেন। দেশ মাতৃকার সেবা করাটাই হচ্ছে সবথেকে বেশি গৌরবের।

তিনি বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। আর আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা আমাদের সেনাবাহিনী শুধু এখন শুধু আর আমাদের দেশে সীমাবদ্ধ না। আমরা জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনেও অবদান রেখে যাচ্ছি। তাই আমি সবসময় চেয়েছি, আমাদের সেনাবাহিনী বা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সুপ্রশিক্ষিত একটি সেনাবাহিনী গড়ে উঠুক।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় মানুষের পাশে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। করোনাভাইরাসে দীর্ঘ কয়েকমাস যাবত আমাদের সেনাবাহিনী ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই শান্তি, জাতির পিতা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছে সকলে সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরীতা নয়। আমরা কারো সাথে বৈরীতা চাই না। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি। বাংলাদেশ যেন ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে উঠে। সে লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি বলেন, একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে, আমাদের সংবিধান স্বাধীনতার পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে জাতির পিতা আমাদের এই সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যে সংবিধানে একটি রাষ্ট্র পরিচালনার সব নির্দেশনা দেয়া আছে। কাজেই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনা ভাইরাসেও আমাদের সেনাবাহিনী দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা, তাদের রিলিফ বিতরণ করা, তাদের নানা ধরনের সহযোগিতা করা, করোনা সম্পর্কে তাদের সচেতনতা সব ব্যাপারেই বিশেষ ভূমিকা আপনারা পালন করে যাচ্ছেন। সেজন্য আমি সেনাবাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

বিজনেস আওয়ার/১১ অক্টবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে’

পোস্ট হয়েছে : ০২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সেনাবাহিনী হলো দেশের সম্পদ ও মানুষের ভরসা বিশ্বাসের প্রতীক। বাংলাদেশের জনগণ এরা তো আপনাদেরই আপনজন। আপনাদের পরিবারেরই সাথী। তাই দেশপ্রেম ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১১ অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট/সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সাভার সেনানিবাসে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।

তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে আধুনিকায়নে এবং যুগের সাথে সাথে তারা তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কারণ এই প্রতিরক্ষা নীতিমালা জাতির পিতা আমাদেরকে দিয়ে গেছে, সেখানে একটা সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনাও ছিল। আর সেটাই আজকে আমরা অনুসরণ করে যাচ্ছি।

পতাকা, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই পতাকা। এই পতাকা হচ্ছে একটি জাতির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। এই পতাকার মান রক্ষা করা, প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। প্রতিটি সৈনিক এবং আমি মনে করি সকল জনসাধারণ সবারই দায়িত্ব এই পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা। কারণ এটাই হচ্ছে আমাদের একটা প্রতীক, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যাতায়াত সীমিত হয়ে গেছে। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চেয়েছি, আপনারা সময়মতো যেন পতাকাপ্রাপ্তির অধিকারটা অর্জন করেন, যেন বঞ্চিত না হন। আপনারা এই গৌরব অর্জন করেছেন, আমি আশা করি, জাতির আস্থা বিশ্বাস অটুট থাকবে, দেশ সেবায় আপনারা আত্মনিয়োগ করবেন। দেশ মাতৃকার সেবা করাটাই হচ্ছে সবথেকে বেশি গৌরবের।

তিনি বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। আর আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা আমাদের সেনাবাহিনী শুধু এখন শুধু আর আমাদের দেশে সীমাবদ্ধ না। আমরা জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনেও অবদান রেখে যাচ্ছি। তাই আমি সবসময় চেয়েছি, আমাদের সেনাবাহিনী বা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সুপ্রশিক্ষিত একটি সেনাবাহিনী গড়ে উঠুক।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় মানুষের পাশে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। করোনাভাইরাসে দীর্ঘ কয়েকমাস যাবত আমাদের সেনাবাহিনী ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই শান্তি, জাতির পিতা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছে সকলে সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরীতা নয়। আমরা কারো সাথে বৈরীতা চাই না। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি। বাংলাদেশ যেন ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে উঠে। সে লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি বলেন, একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে, আমাদের সংবিধান স্বাধীনতার পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে জাতির পিতা আমাদের এই সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যে সংবিধানে একটি রাষ্ট্র পরিচালনার সব নির্দেশনা দেয়া আছে। কাজেই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনা ভাইরাসেও আমাদের সেনাবাহিনী দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা, তাদের রিলিফ বিতরণ করা, তাদের নানা ধরনের সহযোগিতা করা, করোনা সম্পর্কে তাদের সচেতনতা সব ব্যাপারেই বিশেষ ভূমিকা আপনারা পালন করে যাচ্ছেন। সেজন্য আমি সেনাবাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

বিজনেস আওয়ার/১১ অক্টবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: