ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • 131

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বাঘের বসবাস এশিয়ার মাত্র কয়েকটি দেশের বন-জঙ্গলে। এমনকি বাংলাদেশ ও ভারতের কোল ঘেষা সুন্দরবনেও আছে বাঘের আনাগোনা। বাংলাদেশের সুন্দরবনে বর্তমানে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। বাঘের সংখ্যা আরও বাড়লে আরেক বিপদ আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, বন বিভাগ ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় হরিণ ও বাঘের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। সেইসঙ্গে আগামী দশ বছরের মাঝে বাঘ এবং হরিণ একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, তখন বাঘ-মানুষের সংঘর্ষ বাড়বে। কারণ বনে যদি বাঘের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে তারা সেই অনুযায়ী খাবার পাবে না, আর খাবার না পেলে তারা লোকালয়ে প্রবেশ করবে। খাবার না পেলে গ্রামে বাঘ-মানুষের সংঘর্ষ বাড়বে। এটা সারা দুনিয়াতে আছে। ক্যানসারকে যেমন ম্যানেজমেন্টে রাখতে হবে, বাঘ মানুষের সংঘর্ষও তাই।

পৃথিবীতে মানুষ বেড়েছে, বনের ওপর চাপ বাড়ছে। বনের আশপাশে মানুষের ঘরবাড়ি আছে। স্বাভাবিকভাবেই এই দ্বন্দ্ব থাকবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে বর্তমানে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাঘের সংখ্যা বাড়ার মূল কারণ হলো মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি।

প্রাণিবিদ এবং এই খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, সমাজে কেউ বাঘ বা হরিণ শিকার করলে তাকে এখন অনেকেই ভালো চোখে দেখে না। এটা একটি কারণ। সুন্দরবনের আশেপাশে ৭৬টি গ্রাম আছে, সেগুলোর ৮০ শতাংশ গ্রামে এখন ‘ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম’ আছে।

এছাড়া, একটা সময়ে সুন্দরবন মানেই ছিল জলদস্যু ও বনদস্যুদের আখড়া। এখন সেটা আর নেই।

তারা আরও জানান, হরিণের সংখ্যা বাড়লে বাঘ বাড়বে। কারণ হরিণ বাঘের প্রধান খাবার। খাবার থাকলে মানুষের ক্ষেত্রে যেমন হয়, বাঘের ক্ষেত্রেও তাই হবে। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে এটা নিয়মের মাঝে চলে। হরিণ বাড়লে বাঘ বাড়ে। আর বাঘ বাড়লে হরিণ কমবে। হরিণ বাড়লে পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ায় বাঘ বনের বাইরে কম আসবে।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা

পোস্ট হয়েছে : ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বাঘের বসবাস এশিয়ার মাত্র কয়েকটি দেশের বন-জঙ্গলে। এমনকি বাংলাদেশ ও ভারতের কোল ঘেষা সুন্দরবনেও আছে বাঘের আনাগোনা। বাংলাদেশের সুন্দরবনে বর্তমানে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। বাঘের সংখ্যা আরও বাড়লে আরেক বিপদ আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, বন বিভাগ ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় হরিণ ও বাঘের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। সেইসঙ্গে আগামী দশ বছরের মাঝে বাঘ এবং হরিণ একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, তখন বাঘ-মানুষের সংঘর্ষ বাড়বে। কারণ বনে যদি বাঘের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে তারা সেই অনুযায়ী খাবার পাবে না, আর খাবার না পেলে তারা লোকালয়ে প্রবেশ করবে। খাবার না পেলে গ্রামে বাঘ-মানুষের সংঘর্ষ বাড়বে। এটা সারা দুনিয়াতে আছে। ক্যানসারকে যেমন ম্যানেজমেন্টে রাখতে হবে, বাঘ মানুষের সংঘর্ষও তাই।

পৃথিবীতে মানুষ বেড়েছে, বনের ওপর চাপ বাড়ছে। বনের আশপাশে মানুষের ঘরবাড়ি আছে। স্বাভাবিকভাবেই এই দ্বন্দ্ব থাকবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে বর্তমানে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাঘের সংখ্যা বাড়ার মূল কারণ হলো মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি।

প্রাণিবিদ এবং এই খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, সমাজে কেউ বাঘ বা হরিণ শিকার করলে তাকে এখন অনেকেই ভালো চোখে দেখে না। এটা একটি কারণ। সুন্দরবনের আশেপাশে ৭৬টি গ্রাম আছে, সেগুলোর ৮০ শতাংশ গ্রামে এখন ‘ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম’ আছে।

এছাড়া, একটা সময়ে সুন্দরবন মানেই ছিল জলদস্যু ও বনদস্যুদের আখড়া। এখন সেটা আর নেই।

তারা আরও জানান, হরিণের সংখ্যা বাড়লে বাঘ বাড়বে। কারণ হরিণ বাঘের প্রধান খাবার। খাবার থাকলে মানুষের ক্ষেত্রে যেমন হয়, বাঘের ক্ষেত্রেও তাই হবে। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে এটা নিয়মের মাঝে চলে। হরিণ বাড়লে বাঘ বাড়ে। আর বাঘ বাড়লে হরিণ কমবে। হরিণ বাড়লে পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ায় বাঘ বনের বাইরে কম আসবে।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: