ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরাকের এক গোষ্ঠী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • 75

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জর্ডানে মার্কিন ঘাটিতে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ নামের এই গোষ্ঠীট দাবি করেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইল হত্যাযজ্ঞের জবাব হিসেবে চারটি মার্কিন ঘাটিতে হামলা চালিয়েছে তারা।

এই হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করলো ইরাকের এই গোষ্ঠীটি। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরাক ও এই অঞ্চলে মার্কিন দখলদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের লড়াই চলছে।

গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে চারটি শত্রু ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যার তিনটি সিরিয়ায় ও চতুর্থটি জর্ডানে।

তাছাড়া গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটি ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের অবস্থান ও ঘাটিতে কয়েক ডজন হামলার দায় স্বীকার করেছে।

তবে প্রথম তিনটি হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জর্ডানেই প্রথম মার্কিন সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটলো। আর এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

রোববার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা এখনো এই হামলার বিষয়ে খুটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছি। তবে আমরা জানি যে সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় থাকা ইরান-সমর্থিত কট্টর প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো এই হামলা চালিয়েছে। আমরা অবশ্যই এই হামলার জন্য দায়ীদের খুজে বের করবো ও সাজার আওতায় আনবো।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্যও মনে করছে, ইরান-সমর্থিক সশস্ত্র গোষ্টীগুলোই এই হামলা চালিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন এই দাবি করেছেন।

তবে ক্যামেরন ও বাইডেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা আইআরএনকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানির বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এই অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করে। তবে তারা ইরানের সরকারের আদেশে চলে না।

এদিকে, সিরিয়ার সঙ্গে নিজ দেশের সীমান্তের ভেতরে সামরিক ঘাটিতে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান। ওই ঘাটির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটনকে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত হন ও আহত হন আরও ৩৪ জন।

সূত্র: আল জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরাকের এক গোষ্ঠী

পোস্ট হয়েছে : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জর্ডানে মার্কিন ঘাটিতে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ নামের এই গোষ্ঠীট দাবি করেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইল হত্যাযজ্ঞের জবাব হিসেবে চারটি মার্কিন ঘাটিতে হামলা চালিয়েছে তারা।

এই হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করলো ইরাকের এই গোষ্ঠীটি। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরাক ও এই অঞ্চলে মার্কিন দখলদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের লড়াই চলছে।

গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে চারটি শত্রু ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যার তিনটি সিরিয়ায় ও চতুর্থটি জর্ডানে।

তাছাড়া গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটি ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের অবস্থান ও ঘাটিতে কয়েক ডজন হামলার দায় স্বীকার করেছে।

তবে প্রথম তিনটি হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জর্ডানেই প্রথম মার্কিন সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটলো। আর এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

রোববার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা এখনো এই হামলার বিষয়ে খুটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছি। তবে আমরা জানি যে সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় থাকা ইরান-সমর্থিত কট্টর প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো এই হামলা চালিয়েছে। আমরা অবশ্যই এই হামলার জন্য দায়ীদের খুজে বের করবো ও সাজার আওতায় আনবো।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্যও মনে করছে, ইরান-সমর্থিক সশস্ত্র গোষ্টীগুলোই এই হামলা চালিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন এই দাবি করেছেন।

তবে ক্যামেরন ও বাইডেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা আইআরএনকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানির বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এই অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করে। তবে তারা ইরানের সরকারের আদেশে চলে না।

এদিকে, সিরিয়ার সঙ্গে নিজ দেশের সীমান্তের ভেতরে সামরিক ঘাটিতে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান। ওই ঘাটির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটনকে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত হন ও আহত হন আরও ৩৪ জন।

সূত্র: আল জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: