ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডলার সংকটে অর্থছাড়ে সমস্যা হচ্ছে: চীনা রাষ্ট্রদূত

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • 86

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশকে দেওয়া অর্থছাড়ের প্রতিশ্রুতি রাখতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। অর্থছাড় বাড়াতে চীন ও বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রার মধ্যে সমন্বয় করা যায় কি না, এ ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, চীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর আমরা (পাকিস্তান আমল থেকে) বাংলাদেশের চতুর্দশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। চীনের দেওয়া প্রতিশ্রুতির অর্থছাড়ে ধীরগতি কেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোটখাটো কোনো সমস্যা থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।

একই প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, আমেরিকার ভুল মনিটারি ও ফিসকেল পলিসির কারণে বিশ্বব্যাপী ডলার সংকট হচ্ছে। এ কারণে সারা বিশ্ব সমস্যায় পড়েছে। চীনও একই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে।

তিনি বলেন, এ জন্য আমরা বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছি যাতে অর্থছাড় ও বিনিয়োগের অর্থ নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করা হয়। আর বিশ্বে ডলার সংকট কেটে গেলে পরে অর্থছাড় বাড়বে।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইন্যান্সিয়াল ও মনিটারি পলিসির মিসম্যাচের কারণে আমরাও ডলার সংকটে ভুগছি। বিশ্বব্যাপী সমস্যা আমাদেরকেও প্রভাবিত করেছে। এজন্য বাংলাদেশের কাছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আমাদের মুদ্রায় লেনদেনের প্রস্তাব দিয়েছি, বাংলাদেশ সেটি বিবেচনা করছে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, বর্তমানে খুব কম দেশেই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে চীন একটি। বাংলাদেশেরও আছে। চীনের ইতোমধ্যে ১৪টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা কীভাবে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি, কীভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে।

তার মতে, চীনে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্মস কমিটি আছে, সেটি হুবহু এ দেশের পরিকল্পনা কমিশনের কমিটির মতো। এই দুই কমিটি একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করছি।

এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের যেসব সমস্যাগুলো আছে, সেগুলোর সমাধানে আলাপ হয়েছে। চীনেরও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে, আমাদেরও আছে। সেসব বিষয়ে কীভাবে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ডলার সংকটে অর্থছাড়ে সমস্যা হচ্ছে: চীনা রাষ্ট্রদূত

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশকে দেওয়া অর্থছাড়ের প্রতিশ্রুতি রাখতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। অর্থছাড় বাড়াতে চীন ও বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রার মধ্যে সমন্বয় করা যায় কি না, এ ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, চীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর আমরা (পাকিস্তান আমল থেকে) বাংলাদেশের চতুর্দশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। চীনের দেওয়া প্রতিশ্রুতির অর্থছাড়ে ধীরগতি কেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোটখাটো কোনো সমস্যা থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।

একই প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, আমেরিকার ভুল মনিটারি ও ফিসকেল পলিসির কারণে বিশ্বব্যাপী ডলার সংকট হচ্ছে। এ কারণে সারা বিশ্ব সমস্যায় পড়েছে। চীনও একই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে।

তিনি বলেন, এ জন্য আমরা বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছি যাতে অর্থছাড় ও বিনিয়োগের অর্থ নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করা হয়। আর বিশ্বে ডলার সংকট কেটে গেলে পরে অর্থছাড় বাড়বে।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইন্যান্সিয়াল ও মনিটারি পলিসির মিসম্যাচের কারণে আমরাও ডলার সংকটে ভুগছি। বিশ্বব্যাপী সমস্যা আমাদেরকেও প্রভাবিত করেছে। এজন্য বাংলাদেশের কাছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আমাদের মুদ্রায় লেনদেনের প্রস্তাব দিয়েছি, বাংলাদেশ সেটি বিবেচনা করছে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, বর্তমানে খুব কম দেশেই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে চীন একটি। বাংলাদেশেরও আছে। চীনের ইতোমধ্যে ১৪টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা কীভাবে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি, কীভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে।

তার মতে, চীনে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্মস কমিটি আছে, সেটি হুবহু এ দেশের পরিকল্পনা কমিশনের কমিটির মতো। এই দুই কমিটি একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করছি।

এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের যেসব সমস্যাগুলো আছে, সেগুলোর সমাধানে আলাপ হয়েছে। চীনেরও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে, আমাদেরও আছে। সেসব বিষয়ে কীভাবে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: