ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাকসহ ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমল

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • 67

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: তৈরি পোশাক, কৃষি, চামড়াসহ ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমিয়েছে সরকার। খাতভেদে এ সহায়তা আগের চেয়ে ৫ শতাংশ পর্যন্ত কম পাবেন রপ্তানিকারকরা। নতুন নির্দেশনা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী ৪৩টি পণ্য ও খাতকে রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেওয়া হলেও হার কমানো হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দিচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধি-বিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানিনির্ভর সাবসিডি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। এটা বিবেচনায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে কমানোর বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজিকরণ করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪৩টি খাতে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এজন্য বেশকিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হারে এ নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। এতদিন যা ছিল ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ।

নতুন নির্দেশনায় তৈরি পোশাক খাতে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। তা আগে ছিল ১ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। পাটপণ্যে ভর্তুকি ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি ছিল ১০ শতাংশ, এখন পাবে ৮ শতাংশ। অন্যান্য খাতেও রপ্তানিতে ভর্তুকি কমিয়েছে সরকার।

রপ্তানি সহায়তা কমানোর বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতির মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, রপ্তানি সহায়তা কমানো হয়েছে। এটার চেয়ে বড় সমস্যা, কয়েকটি ক্যাটাগরির পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার মানে টি-শার্টসহ রপ্তানির বড় সব পণ্যে সুবিধা থাকছে না। আমাদের কোনো কথার মূল্য নেই। কোথায়ও বলার জায়গাও নেই।

তিনি আরো বলেন, পোশাক খাত ধংস করতে কেউ কেউ পাঁয়তারা করছে। তাদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সরকারকে জানাবো।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পোশাকসহ ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমল

পোস্ট হয়েছে : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: তৈরি পোশাক, কৃষি, চামড়াসহ ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমিয়েছে সরকার। খাতভেদে এ সহায়তা আগের চেয়ে ৫ শতাংশ পর্যন্ত কম পাবেন রপ্তানিকারকরা। নতুন নির্দেশনা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী ৪৩টি পণ্য ও খাতকে রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেওয়া হলেও হার কমানো হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দিচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধি-বিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানিনির্ভর সাবসিডি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। এটা বিবেচনায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে কমানোর বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজিকরণ করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪৩টি খাতে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এজন্য বেশকিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হারে এ নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। এতদিন যা ছিল ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ।

নতুন নির্দেশনায় তৈরি পোশাক খাতে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। তা আগে ছিল ১ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। পাটপণ্যে ভর্তুকি ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি ছিল ১০ শতাংশ, এখন পাবে ৮ শতাংশ। অন্যান্য খাতেও রপ্তানিতে ভর্তুকি কমিয়েছে সরকার।

রপ্তানি সহায়তা কমানোর বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতির মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, রপ্তানি সহায়তা কমানো হয়েছে। এটার চেয়ে বড় সমস্যা, কয়েকটি ক্যাটাগরির পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার মানে টি-শার্টসহ রপ্তানির বড় সব পণ্যে সুবিধা থাকছে না। আমাদের কোনো কথার মূল্য নেই। কোথায়ও বলার জায়গাও নেই।

তিনি আরো বলেন, পোশাক খাত ধংস করতে কেউ কেউ পাঁয়তারা করছে। তাদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সরকারকে জানাবো।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: