ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিদর্শনে গিয়ে খুলনা প্রিন্টিংয়ের কারখানা বন্ধ পেল ডিএসই

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 61

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের কারখানা ও প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) পরিদর্শনকালে কারখানা বন্ধ পাওয়া গেছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে। খুলনা প্রিন্টিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি জানার জন্য কারখানা ও হেড অফিস পরিদর্শনে যান ডিএসই’র কর্মকর্তারা।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করে ডিএসই। পরিদর্শনকালে কোম্পানিগুলোর কারখানা বন্ধ পাওয়া গেছে। কোম্পানিগুলো হলো—রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, উসমানিয়া গ্লাস শিট, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, ফ্যামিলি টেক্স (বিডি), দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস এবং নর্দার্ন জুট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।

বেশ কয়েকটি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন করছে না। কোনো কোনো কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে না এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বিনিয়োগকারীদের বিতরণ করছে না। কিছু কোম্পানির উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কোনো কোনো কোম্পানি তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নিয়মিত করছে না। আবার কিছু কোম্পানি যথাসময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানাচ্ছে না। এসব কারণে এসব কোম্পানি পরিদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। অথচ এ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছুটছে লাগামহীন। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। শেয়ার দরের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি চক্রের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র মতে, গত ২৯ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ জানতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই চিঠি পাঠায়। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি কোম্পানিটি। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের দাবি, এতে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এক মাসে কোম্পানির শেয়ার দর ৯২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত ২ জানুয়ারি শেয়ারটির দর ছিলো ২৬ টাকা। আর গত ০১ ফেব্রুয়ারি শেয়ার দর বেড়ে দাড়িয়েছে ৫০ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ২৪ টাকা বা ৯২.৩০ শতাংশ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পরিদর্শনে গিয়ে খুলনা প্রিন্টিংয়ের কারখানা বন্ধ পেল ডিএসই

পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের কারখানা ও প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) পরিদর্শনকালে কারখানা বন্ধ পাওয়া গেছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে। খুলনা প্রিন্টিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি জানার জন্য কারখানা ও হেড অফিস পরিদর্শনে যান ডিএসই’র কর্মকর্তারা।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করে ডিএসই। পরিদর্শনকালে কোম্পানিগুলোর কারখানা বন্ধ পাওয়া গেছে। কোম্পানিগুলো হলো—রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, উসমানিয়া গ্লাস শিট, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, ফ্যামিলি টেক্স (বিডি), দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস এবং নর্দার্ন জুট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।

বেশ কয়েকটি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন করছে না। কোনো কোনো কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে না এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বিনিয়োগকারীদের বিতরণ করছে না। কিছু কোম্পানির উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কোনো কোনো কোম্পানি তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নিয়মিত করছে না। আবার কিছু কোম্পানি যথাসময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানাচ্ছে না। এসব কারণে এসব কোম্পানি পরিদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। অথচ এ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছুটছে লাগামহীন। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। শেয়ার দরের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি চক্রের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র মতে, গত ২৯ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ জানতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই চিঠি পাঠায়। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি কোম্পানিটি। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের দাবি, এতে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এক মাসে কোম্পানির শেয়ার দর ৯২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত ২ জানুয়ারি শেয়ারটির দর ছিলো ২৬ টাকা। আর গত ০১ ফেব্রুয়ারি শেয়ার দর বেড়ে দাড়িয়েছে ৫০ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ২৪ টাকা বা ৯২.৩০ শতাংশ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: