আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিল সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারককে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এর আগে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাঈন আবদুল মালিকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। আবদুল মালিক প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সাবা।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদি গত ৯ বছর ধরে সৌদি আরবে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। হুতি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে টিকতে না পেরে ২০১৫ সালে সৌদিতে পালিয়ে যান আল হাদি।
মনসুর হাদির অনুপস্থিতিতে মিয়ানমারের নির্বাহী শাসন পরিচালনা করছে প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিল নামের উচ্চপর্যায়ের একটি পর্ষদ। সেই পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়াদ বিন মুবারককে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে।
আওয়াদ বিন মুবারককে ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদি তার চিফ অব স্টাফ হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। পরে একই বছর, তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
২০১৪ সালের শেষের দিক থেকে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেময় ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী বেশ কয়েকটি উত্তর প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয় এবং সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনি সরকারকে রাজধানী সানা থেকে বের করে দেয়। ৫ লাখ ৩০ হাজার আয়তনের এই দেশটির রাজধানী সানাসহ অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে হুতি বিদ্রোহীদের হাতে রয়েছে।
২০১৫ সালে আওয়াদ বিন মুবারককে অপহরণ করেছিল হুতি যোদ্ধারা। পরে তাকে উদ্ধার করে সরকারি বাহিনী। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০২০ সালে ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন আওয়াদ বিন মুবারক।
বিজনেস আওয়ার/বিএইচ