আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ গাড়িয়েছে পঞ্চম মাসে। দীর্ঘ আলোচনা ও বিভিন্ন দেশের মধ্যস্থতায়ও কার্যকর হচ্ছে না যুদ্ধবিরতি। ফলে পুরো গাজা উপত্যকায় নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। নেই কোনো নিরাপদ স্থান। সব জায়গায় চলছে ইসরায়েলের বোমা হামলা। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এমন পরিস্থিতিতে দেশে দেশে দাবি উঠছে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েল সফরে এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর আগে তিনি সৌদি আরব, মিশর ও কাতার সফরে যান। উদ্দেশ্য যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন।
কাতার জানিয়েছে, নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। দোহায় ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি বলেছেন, হামাসের পক্ষ থেকে কিছু মন্তব্য পাওয়া গেছে, তবে তা মোটামুটি ইতিবাচক।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, হামাসের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া বা শর্ত এসেছে সে বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনো অনেক কিছু করার আছে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব, যা খুবই প্রয়োজনীয়। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাও হামাসের শর্ত বা প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, বিষয়টিকে পুরোপুরিভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
যদিও এব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমরা বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা থামবো না। এদিকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৫৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৯৭৮ জন।
বিজনেস আওয়ার/বিএইচ