ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকল্পের কাজ মানসম্মতভাবে করতে সংশ্লিষ্টদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 62

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সরকার দেশজুড়ে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের কাজ যেন মানসম্মতভাবে হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার দুপুরে গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ নির্দেশ দেন তিনি।

গোপালগঞ্জের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়, মানুষ যেন গালি না দেয়। কাজ দেখে যেন মানুষ আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে সেই ব্যবস্থা করবেন। এই আস্থা-বিশ্বাস সব থেকে বেশি দরকার।

এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা ধরনের অপকর্ম করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে সব থেকে বড় কথা হলো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে ৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবচেয়ে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হয়েছে এবারের নির্বাচন। আমাদের সামনের যাত্রাপথ সহজ নয়। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। অনেক চক্রান্ত এই বাংলাদেশটাকে ঘিরে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে। দেশের মানুষের আজ পেটে ভাত আছে। তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। আজ বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে পরতে হয় না।

শেখ হাসিনা বলেন, ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। এভাবে মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাপী খাদ্য-পণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়—সার, বীজ, গম, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস; অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে।

সরকার প্রধান বলেন, যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের জন্য একটু কষ্ট হচ্ছে। সবাই যদি আমরা অনাবাদী জমিগুলো চাষ করে ফেলি, তাহলে আর এই খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং আমরা আরও উদ্বৃত্ত করতে পারব, মানুষকে দিতেও পারব। যেখানে যত পতিত জমি আছে, সব আমাদের চাষের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমরা করব। সেই সঙ্গে আমরা সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাতের ব্যবস্থা হবে।

খাদ্য শস্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। প্রত্যেক জেলায় খাদ্যশস্য যাতে সংরক্ষণ করা যায় সেই ব্যবস্থা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

প্রকল্পের কাজ মানসম্মতভাবে করতে সংশ্লিষ্টদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সরকার দেশজুড়ে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের কাজ যেন মানসম্মতভাবে হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার দুপুরে গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ নির্দেশ দেন তিনি।

গোপালগঞ্জের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়, মানুষ যেন গালি না দেয়। কাজ দেখে যেন মানুষ আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে সেই ব্যবস্থা করবেন। এই আস্থা-বিশ্বাস সব থেকে বেশি দরকার।

এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা ধরনের অপকর্ম করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে সব থেকে বড় কথা হলো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে ৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবচেয়ে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হয়েছে এবারের নির্বাচন। আমাদের সামনের যাত্রাপথ সহজ নয়। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। অনেক চক্রান্ত এই বাংলাদেশটাকে ঘিরে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে। দেশের মানুষের আজ পেটে ভাত আছে। তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। আজ বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে পরতে হয় না।

শেখ হাসিনা বলেন, ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। এভাবে মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাপী খাদ্য-পণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়—সার, বীজ, গম, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস; অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে।

সরকার প্রধান বলেন, যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের জন্য একটু কষ্ট হচ্ছে। সবাই যদি আমরা অনাবাদী জমিগুলো চাষ করে ফেলি, তাহলে আর এই খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং আমরা আরও উদ্বৃত্ত করতে পারব, মানুষকে দিতেও পারব। যেখানে যত পতিত জমি আছে, সব আমাদের চাষের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমরা করব। সেই সঙ্গে আমরা সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাতের ব্যবস্থা হবে।

খাদ্য শস্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। প্রত্যেক জেলায় খাদ্যশস্য যাতে সংরক্ষণ করা যায় সেই ব্যবস্থা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: