ঢাকা , সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিপাইনে ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 146

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টিকে ‘অলৌকিক’ বলেই দাবি করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রয়ারি) মিন্দানাও দ্বীপের দাভাও দে ওরো প্রদেশের খনিসমৃদ্ধ গ্রাম মাসারোয় ভয়াভহ ভূমিধস ঘটে। এতে অন্তত ১১ জন মারা যান ও অন্তত ৩১ জন আহত হন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উদ্ধারকারীরা ভেবেছিলেন, শিশুটি মৃত। কিন্তু পরে দেখেন যে শিশুটি বেচে রয়েছে। এতে আরও অনেককে জীবিত উদ্ধারের আশা খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁদতে থাকা কাদামাখা শিশুটিকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন এক উদ্ধারকর্মী। শিশুটির শরীরে দৃশ্যমান তেমন কোনো আঘাত নেই।

দাভাও দে ওরো প্রদেশের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি বলেছেন, শিশুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছে। এর আগে মেয়েটির সঙ্গে তার বাবার দেখা হয়েছে।

মঙ্গলবারের ভূমিধসের ঘটনায় সোনার খনি সমৃদ্ধ গ্রামটিতে খনি শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত তিনটি বাস ও জিপ গাড়ি কাদায় আটকে যায়। বাসগুলোতে থাকা ২৮ শ্রমিকের মধ্যে ৮ জন বেরিয়ে আসতে পারেন। তাছাড়া এ দুর্ঘটনায় গ্রামটির অনেক বাড়িঘরও ধ্বংস হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। কাদা ও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজে লাগান হচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর।

প্রাদেশিক কর্মকর্তা ম্যাকাপিলি বলেন, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে ভূমিধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটিকে ‘নো বিল্ড জোন’ বা স্থাপনা তৈরি করা যাবে না এমন স্থান ঘোষণা করা হয়েছিল। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পর এলাকাবাসীকে এই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আবারও এখানে ফিরে এসেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিপাইনের এই অঞ্চলে ভূমিকম্প, ভূমিধস ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে ভূমিধসের আশঙ্কায় মাসারা ও আশপাশের চারটি গ্রামের শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে জরুরি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ।

গত সপ্তাহেই ওই একই অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। জাতীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপণা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ফিলিপাইনে ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার

পোস্ট হয়েছে : ১২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টিকে ‘অলৌকিক’ বলেই দাবি করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রয়ারি) মিন্দানাও দ্বীপের দাভাও দে ওরো প্রদেশের খনিসমৃদ্ধ গ্রাম মাসারোয় ভয়াভহ ভূমিধস ঘটে। এতে অন্তত ১১ জন মারা যান ও অন্তত ৩১ জন আহত হন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উদ্ধারকারীরা ভেবেছিলেন, শিশুটি মৃত। কিন্তু পরে দেখেন যে শিশুটি বেচে রয়েছে। এতে আরও অনেককে জীবিত উদ্ধারের আশা খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁদতে থাকা কাদামাখা শিশুটিকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন এক উদ্ধারকর্মী। শিশুটির শরীরে দৃশ্যমান তেমন কোনো আঘাত নেই।

দাভাও দে ওরো প্রদেশের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি বলেছেন, শিশুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছে। এর আগে মেয়েটির সঙ্গে তার বাবার দেখা হয়েছে।

মঙ্গলবারের ভূমিধসের ঘটনায় সোনার খনি সমৃদ্ধ গ্রামটিতে খনি শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত তিনটি বাস ও জিপ গাড়ি কাদায় আটকে যায়। বাসগুলোতে থাকা ২৮ শ্রমিকের মধ্যে ৮ জন বেরিয়ে আসতে পারেন। তাছাড়া এ দুর্ঘটনায় গ্রামটির অনেক বাড়িঘরও ধ্বংস হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। কাদা ও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজে লাগান হচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর।

প্রাদেশিক কর্মকর্তা ম্যাকাপিলি বলেন, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে ভূমিধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটিকে ‘নো বিল্ড জোন’ বা স্থাপনা তৈরি করা যাবে না এমন স্থান ঘোষণা করা হয়েছিল। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পর এলাকাবাসীকে এই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আবারও এখানে ফিরে এসেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিপাইনের এই অঞ্চলে ভূমিকম্প, ভূমিধস ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে ভূমিধসের আশঙ্কায় মাসারা ও আশপাশের চারটি গ্রামের শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে জরুরি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ।

গত সপ্তাহেই ওই একই অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। জাতীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপণা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: