ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীঘির খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করল ডিবি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 99

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কথিত বিকাশ কর্মকর্তার প্রতারণার ফাঁদে নিজের বিকাশ একাউন্ট থেকে দেড় লাখ টাকা হারিয়েছেন চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তবে তার খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (গোয়েন্দা) বিভাগ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা বুঝে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা অভিনেতা সুব্রত বড়ুয়া এবং মামা ভিক্টর।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গত শনিবার দীঘির মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। ওই ব্যক্তি নিজেকে বিকাশ অফিসের কর্মী দাবি করেন। এরপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্লক হওয়ার তথ্য জানিয়ে ঠিক করে দেওয়ার নামে দীঘির কাছে একটি ওটিপি নম্বর চাইলে সরল মনে সেটা দিয়ে দেন অভিনেত্রী। এর কিছুক্ষণ পরই বিকাশ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করলে দীঘি দেখতে পান, তার অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ ৬২ হাজার টাকা উধাও।’

এ ঘটনায় দীঘি শেরে-বাংলা নগর থানা ও ডিবিতে অভিযোগ করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হাতিয়ে নেওয়া টাকা।

এ বিষয়ে হারুন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্যরা ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা বা ব্যক্তির অজান্তে রেজিস্ট্রেশন করা সিম ব্যবহার করে। সিমগুলো দিয়ে বিকাশ/নগদ কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে টার্গেট ব্যক্তিকে কল করে তার বিশ্বাস অর্জন করেস। এরপর বিভিন্ন কথা বলার পর টার্গেট ব্যক্তির বিকাশ নম্বরে লগইন করার জন্য তার নম্বরে ওটিপি পাঠিয়ে দেয় এবং টার্গেটকে তার মোবাইলে আসা ওটিপি বলার জন্য অনুরোধ করে। নায়িকা দীঘি সরল বিশ্বাসে তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট সচল করা বা অন্য কোনো আশায় মোবাইলে আসা ওটিপি বলে দেয়।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এরপর প্রতারক ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টে লগইন করে এবং অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা তুলে নেয়। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই টাকা নগদ উত্তোলন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে। এভাবে দেশের অসংখ্য সাধারণ জনগণ প্রতারণার শিকার হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দীঘির খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করল ডিবি

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কথিত বিকাশ কর্মকর্তার প্রতারণার ফাঁদে নিজের বিকাশ একাউন্ট থেকে দেড় লাখ টাকা হারিয়েছেন চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তবে তার খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (গোয়েন্দা) বিভাগ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা বুঝে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা অভিনেতা সুব্রত বড়ুয়া এবং মামা ভিক্টর।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গত শনিবার দীঘির মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। ওই ব্যক্তি নিজেকে বিকাশ অফিসের কর্মী দাবি করেন। এরপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্লক হওয়ার তথ্য জানিয়ে ঠিক করে দেওয়ার নামে দীঘির কাছে একটি ওটিপি নম্বর চাইলে সরল মনে সেটা দিয়ে দেন অভিনেত্রী। এর কিছুক্ষণ পরই বিকাশ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করলে দীঘি দেখতে পান, তার অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ ৬২ হাজার টাকা উধাও।’

এ ঘটনায় দীঘি শেরে-বাংলা নগর থানা ও ডিবিতে অভিযোগ করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হাতিয়ে নেওয়া টাকা।

এ বিষয়ে হারুন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্যরা ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা বা ব্যক্তির অজান্তে রেজিস্ট্রেশন করা সিম ব্যবহার করে। সিমগুলো দিয়ে বিকাশ/নগদ কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে টার্গেট ব্যক্তিকে কল করে তার বিশ্বাস অর্জন করেস। এরপর বিভিন্ন কথা বলার পর টার্গেট ব্যক্তির বিকাশ নম্বরে লগইন করার জন্য তার নম্বরে ওটিপি পাঠিয়ে দেয় এবং টার্গেটকে তার মোবাইলে আসা ওটিপি বলার জন্য অনুরোধ করে। নায়িকা দীঘি সরল বিশ্বাসে তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট সচল করা বা অন্য কোনো আশায় মোবাইলে আসা ওটিপি বলে দেয়।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এরপর প্রতারক ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টে লগইন করে এবং অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা তুলে নেয়। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই টাকা নগদ উত্তোলন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে। এভাবে দেশের অসংখ্য সাধারণ জনগণ প্রতারণার শিকার হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: