বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান আদালতে এ রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল রহমানের আদালতে কিছুক্ষণের মধ্যে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
রিমান্ড আবেদন বলা হয়েছে, এর আগে গত ৭ জানুয়ারি আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত তিন কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। সে মোতাবেক এবং জেল কোড অনুযায়ী সৈয়দ আশফাকুল হককে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং তানিয়া খন্দকারকে কাশিমপুর কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা আলাদা কারাগারে থাকায় ঘটনার বিষয়ে তাদের একত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। তারা ঘটনার বিষয়ে অনেক রহস্যজনক তথ্য দিয়েছেন এবং বিভিন্নভাবে ঘটনার মূল কারণ কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা থাকলেও কোনো মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কৌশলে বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যামেরায় ঘটনার ভিডিও ধারণ থাকার ফলে আসামিরা ঘটনার পরপরই সেখান থেকে মামলার আলামত নষ্ট বা গোপন করার জন্য মেমোরি কার্ড লুকিয়ে রাখতে পারেন। এমতাবস্থায় তাদের নিয়ে বাসায় অভিযান পরিচালনা করলে মেমোরি কার্ড উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তাই, দুই আসামিকে একত্রে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৭ জানুয়ারি ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটির দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান। মামলায় ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। প্রীতি ওড়ান নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতেন।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ