ঢাকা , সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিটনের দাপুডে ইনিংসের পরও সিলেটের কাছে হার কুমিল্লার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 163

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: হাতে ৮ উইকেট, ৫ ওভারে দরকার ৬১ রান। ক্রিজে ছিলেন ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করা লিটন দাস আর ক্যারিবীয় ব্যাটার জনসন চার্লস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লাইনআপে এরপর ছিলেন আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি, সুনিল নারিনের মতো ব্যাটাররা।

তাই শেষদিকে বড় টার্গেটও অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু আগেই বিদায় হয়ে যাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আর পারলো না কুমিল্লা। হেরে গেলো ১২ রানে। ১১ ম্যাচে এটি সিলেটের চতুর্থ জয়। আগের ম্যাচটি জিতলেই তাদের সম্ভাবনা টিকে থাকতো। অন্যদিকে দশম ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ পেলো কুমিল্লা। হারের পরও ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার দুই নম্বরে।

কুমিল্লার লক্ষ্য ছিল ১৭৮ রানের। শফিকুল ইসলামের করা ইনিংসের ১৬তম ওভারেই মূলত ম্যাচটা ছুটে যায় তাদের হাত থেকে। ওই ওভারের শেষ ৪ বলে মঈন আলিকে রানই নিতে দেননি বাঁহাতি এই পেসার।

শেষ ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ২৫। আন্দ্রে রাসেল আর লিটন দাস ক্রিজে থাকায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন কুমিল্লার সমর্থকরা। কিন্তু তানজিম হাসান সাকিব প্রথম বলেই উপড়ে ফেলেন লিটনের স্টাম্প। ৫৮ বলে লিটনের ৮৫ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার আর ৩টি বাউন্ডারির মার।

তানজিম সাকিব শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে লিটনের পর তুলে নেন আন্দ্রে রাসেলের উইকেটও। সবমিলিয়ে ৩ ওভারে ৩৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। এর আগে মোহাম্মদ মিঠুন আর বেনি হাওয়েলের ৪২ বলে ৭৭ রানের জুটির উপর ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান তোলে সিলেট। ১৭ বলে ১৮ রান করে ফেরত যান ওপেনার জাকির হাসান।

দলীয় ৬৭ রানের আরেক ওপেনার কেনার লুইস ২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়ে গেলে দ্রুত আরও দুটি উইকেট (নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ রানে, ইয়াসির আলি ২ রানে) হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সিলেট।

এরপর চাপ সামলে ব্যাট করতে থাকেন মিঠুন ও হাওয়েল। মিঠুন ২০ বলে ২৮ করে আউট হয়ে গেলেও দুর্দান্ত ফিফটি হাঁকান হাওয়েল। ২৫ বলে অর্ধশতক হাঁকানোর পর ৩১ বলে ৬২ বলের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এর মধ্যে ১৭তম ওভারে রিশাদকে তুলোধুনো করে ২৪ রান নেন মিঠুন ও হাওয়েল।

মিঠুন আউট হয়ে গেলে আরিফুল হকের সঙ্গে ১৩ বলে ২৬ রানের জু্টি করেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ১৭৭ রান তুলে কুমিল্লাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় সিলেট। সুনিল নারিন ১৬ রানে আর রিশাদ হোসেন ৩৭ রানে নেন ২টি করে উইকেট।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

লিটনের দাপুডে ইনিংসের পরও সিলেটের কাছে হার কুমিল্লার

পোস্ট হয়েছে : ০৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: হাতে ৮ উইকেট, ৫ ওভারে দরকার ৬১ রান। ক্রিজে ছিলেন ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করা লিটন দাস আর ক্যারিবীয় ব্যাটার জনসন চার্লস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লাইনআপে এরপর ছিলেন আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি, সুনিল নারিনের মতো ব্যাটাররা।

তাই শেষদিকে বড় টার্গেটও অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু আগেই বিদায় হয়ে যাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আর পারলো না কুমিল্লা। হেরে গেলো ১২ রানে। ১১ ম্যাচে এটি সিলেটের চতুর্থ জয়। আগের ম্যাচটি জিতলেই তাদের সম্ভাবনা টিকে থাকতো। অন্যদিকে দশম ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ পেলো কুমিল্লা। হারের পরও ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার দুই নম্বরে।

কুমিল্লার লক্ষ্য ছিল ১৭৮ রানের। শফিকুল ইসলামের করা ইনিংসের ১৬তম ওভারেই মূলত ম্যাচটা ছুটে যায় তাদের হাত থেকে। ওই ওভারের শেষ ৪ বলে মঈন আলিকে রানই নিতে দেননি বাঁহাতি এই পেসার।

শেষ ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ২৫। আন্দ্রে রাসেল আর লিটন দাস ক্রিজে থাকায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন কুমিল্লার সমর্থকরা। কিন্তু তানজিম হাসান সাকিব প্রথম বলেই উপড়ে ফেলেন লিটনের স্টাম্প। ৫৮ বলে লিটনের ৮৫ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার আর ৩টি বাউন্ডারির মার।

তানজিম সাকিব শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে লিটনের পর তুলে নেন আন্দ্রে রাসেলের উইকেটও। সবমিলিয়ে ৩ ওভারে ৩৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। এর আগে মোহাম্মদ মিঠুন আর বেনি হাওয়েলের ৪২ বলে ৭৭ রানের জুটির উপর ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান তোলে সিলেট। ১৭ বলে ১৮ রান করে ফেরত যান ওপেনার জাকির হাসান।

দলীয় ৬৭ রানের আরেক ওপেনার কেনার লুইস ২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়ে গেলে দ্রুত আরও দুটি উইকেট (নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ রানে, ইয়াসির আলি ২ রানে) হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সিলেট।

এরপর চাপ সামলে ব্যাট করতে থাকেন মিঠুন ও হাওয়েল। মিঠুন ২০ বলে ২৮ করে আউট হয়ে গেলেও দুর্দান্ত ফিফটি হাঁকান হাওয়েল। ২৫ বলে অর্ধশতক হাঁকানোর পর ৩১ বলে ৬২ বলের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এর মধ্যে ১৭তম ওভারে রিশাদকে তুলোধুনো করে ২৪ রান নেন মিঠুন ও হাওয়েল।

মিঠুন আউট হয়ে গেলে আরিফুল হকের সঙ্গে ১৩ বলে ২৬ রানের জু্টি করেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ১৭৭ রান তুলে কুমিল্লাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় সিলেট। সুনিল নারিন ১৬ রানে আর রিশাদ হোসেন ৩৭ রানে নেন ২টি করে উইকেট।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: