বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের লেনদেন মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে। নতুন ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ফলে ব্যাংক খাতে কোম্পানির সংখ্যা হলো ৩৬টি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটি ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করেছে। ডিএসই ও সিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড ‘NRBBANK’। ডিএসইতে কোম্পানিটির কোড-১১১৫৫। আর সিএসইতে কোম্পানির স্ক্রিপ্ট আইডি-২২০৩৯। কোম্পানিটি ব্যাংক খাতে লেনদেন করবে। প্রথম দিন কোম্পানির শেয়ার ১১ টাকায় লেনদেন শুরু করে। ব্যাংকটির লেনদেন শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে ১০৭৯টি শেয়ার ৫ বার হাতবদল হয়ে লেনদেন হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসই টাওয়ারে (নিকুঞ্জ-২) অবস্থিত লিস্টিং হলরুমে ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রো-রাটা ভিত্তিতে এনআরবি ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) শেয়ারের বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ৩৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়ে, যা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৩.৬১ গুণ বেশি।
প্রতি ১০,০০০ টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ২৫৫টি শেয়ার এবং অনিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ২০৯টি শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হয়।
গত বছরের ৯ নভেম্বর পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৮৮৭তম কমিশন সভায় এনআরবি ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
এনআরবি ব্যাংককে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১০ কোটি শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাংকটি সরকারি সিকিউরিটিজ ও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের কাজে ব্যয় করবে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২.৭২ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.২৭ টাকা। আর গত ৫ বছরের ভরিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৭২ টাকা।
উল্লেখ, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ