ঢাকা , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অতিমূল্যায়ন করা বিডারদের শাস্তির আওতায় আনার কথা ভাবছে কমিশন

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০
  • 55

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কাট-অফ প্রাইস নির্ধারনে বুক বিল্ডিংয়ের নিলামে (বিডিং) অতিমূল্যায়ন দর প্রস্তাব করা বিডারদেরকে শাস্তির আওতায় আনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক্ষেত্রে তাদেরকে নিষিদ্ধ বা অন্যকোনভাবে শাস্তি প্রদান করা হতে পারে।

আগের কমিশনের ন্যায় বর্তমান কমিশনও বুক বিল্ডিংয়ে অতিমূল্যায়ন করা বিডারদের নিয়ে চিন্তিত। এইসব বিডাররা নিজেদের স্বার্থে পুরো শেয়ারবাজারের অন্তরায় কাজ করে। তাই শেয়ারবাজারের স্বার্থে এদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, নিলামে কিছু বিডার শেয়ারবাজারের জন্য কাল হয়ে দাড়িঁয়েছে। এরা কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজোশ করে বেশিতে দর প্রস্তাব করে। এটা এখন সব মহলেই আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। এই কাজ আর সামনে হতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি আগামিতে অতিমূল্যায়িত দর প্রস্তাব করে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হওয়া লাগবেই। এই কমিশন সুশাসনে ছাড় দিতে নারাজ।

তিনি বলেন, কমিশন অতিমূল্যায়ন করা বিড়ারদেরকে ৩ বছর নিষিদ্ধের কথা ভাবছে। তবে এর পাশাপাশি তাদেরকে অন্যকোনভাবে শাস্তি প্রদান করে সঠিক রাস্তায় আনা যায় কিনা, সেটাও ভাবছে।

এরইমধ্যে যোগ্য নামের অযোগ্য বিনিয়োগকারীরা অতিমূল্যায়িত দর প্রস্তাব করে শেয়ারবাজারের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে। ২০১৬ সালে বুক বিল্ডিং চালু হওয়ার পরে তাদের মূল্যায়িত যতগুলো কোম্পানি শেয়ারবাজারে এসেছে, তারমধ্যে আমরা নেটওয়ার্ক ও ওয়ালটন ছাড়া বাকি সবগুলোই কাট-অফ প্রাইসের নিচে অবস্থান করছে।

বিজনেস আওয়ার/১৫ অক্টোবর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অতিমূল্যায়ন করা বিডারদের শাস্তির আওতায় আনার কথা ভাবছে কমিশন

পোস্ট হয়েছে : ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কাট-অফ প্রাইস নির্ধারনে বুক বিল্ডিংয়ের নিলামে (বিডিং) অতিমূল্যায়ন দর প্রস্তাব করা বিডারদেরকে শাস্তির আওতায় আনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক্ষেত্রে তাদেরকে নিষিদ্ধ বা অন্যকোনভাবে শাস্তি প্রদান করা হতে পারে।

আগের কমিশনের ন্যায় বর্তমান কমিশনও বুক বিল্ডিংয়ে অতিমূল্যায়ন করা বিডারদের নিয়ে চিন্তিত। এইসব বিডাররা নিজেদের স্বার্থে পুরো শেয়ারবাজারের অন্তরায় কাজ করে। তাই শেয়ারবাজারের স্বার্থে এদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, নিলামে কিছু বিডার শেয়ারবাজারের জন্য কাল হয়ে দাড়িঁয়েছে। এরা কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজোশ করে বেশিতে দর প্রস্তাব করে। এটা এখন সব মহলেই আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। এই কাজ আর সামনে হতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি আগামিতে অতিমূল্যায়িত দর প্রস্তাব করে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হওয়া লাগবেই। এই কমিশন সুশাসনে ছাড় দিতে নারাজ।

তিনি বলেন, কমিশন অতিমূল্যায়ন করা বিড়ারদেরকে ৩ বছর নিষিদ্ধের কথা ভাবছে। তবে এর পাশাপাশি তাদেরকে অন্যকোনভাবে শাস্তি প্রদান করে সঠিক রাস্তায় আনা যায় কিনা, সেটাও ভাবছে।

এরইমধ্যে যোগ্য নামের অযোগ্য বিনিয়োগকারীরা অতিমূল্যায়িত দর প্রস্তাব করে শেয়ারবাজারের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে। ২০১৬ সালে বুক বিল্ডিং চালু হওয়ার পরে তাদের মূল্যায়িত যতগুলো কোম্পানি শেয়ারবাজারে এসেছে, তারমধ্যে আমরা নেটওয়ার্ক ও ওয়ালটন ছাড়া বাকি সবগুলোই কাট-অফ প্রাইসের নিচে অবস্থান করছে।

বিজনেস আওয়ার/১৫ অক্টোবর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: