ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় দেশে শনাক্ত হবে যক্ষ্মা

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • 73

দেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে। আগামী বছর থেকে দেশের তিনটি জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট কর্মসূচি হিসেবে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হচ্ছে। শুরুতে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় জেলায় এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। ‘টিবি (যক্ষ্মা)-সিআরজি বিষয়ে কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি’ শীর্ষক বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এবং আইএসিআইবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে উন্নত দেশগুলো শতভাগ সফলতা পেয়েছে। আমাদের উপমহাদেশেও এখন যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করার পাইলটিং চলছে। আমাদের দেশেও আগামী বছর থেকে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় এই তিনটি জেলায় যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের জন্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, চলমান পদ্ধতিতে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত সঠিক না হওয়ায় বহু রোগী রোগটি নিয়ে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করছেন। এতে তারা শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। অন্যদের মাঝে রোগটি ছড়ান।

তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে যক্ষ্মা রোগীদের জন্য ৬-১২ মাসের ওষুধ সেবনের কোর্স সময় কমিয়ে স্বল্প সময়ের ওষুধ আনা হচ্ছে। তাতে দুই মাস এবং এক মাসের কোর্স থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

যক্ষ্মা রোগ বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, দেশে ৫১ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী খুব উচ্চ পরিবহন খরচের কারণে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ নিতে কেন্দ্রে আসেন না। এজন্য রোগীদের কাছাকাছি যদি ফার্মেসিতে ওষুধ রাখা যায়, তাহলে তারা সহজেই ওষুধ নেবেন। ওষুধ সেবন করে তারা সুস্থ হবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা একটি জীবাণু ঘটিত রোগ। যে কোনো বয়সী নারী পুরুষের যে কোনো সময়ে যক্ষ্মা হতে পারে। হাঁচি কাশির মাধ্যমে যক্ষ্মারোগের সংক্রমণ ঘটে। যক্ষ্মা একটি প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য রোগ। কিছু নিয়ম মেনে চললে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা যায়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব রফিকুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/২৬ মার্চ/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় দেশে শনাক্ত হবে যক্ষ্মা

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

দেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে। আগামী বছর থেকে দেশের তিনটি জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট কর্মসূচি হিসেবে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হচ্ছে। শুরুতে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় জেলায় এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। ‘টিবি (যক্ষ্মা)-সিআরজি বিষয়ে কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি’ শীর্ষক বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এবং আইএসিআইবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে উন্নত দেশগুলো শতভাগ সফলতা পেয়েছে। আমাদের উপমহাদেশেও এখন যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করার পাইলটিং চলছে। আমাদের দেশেও আগামী বছর থেকে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় এই তিনটি জেলায় যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের জন্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, চলমান পদ্ধতিতে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত সঠিক না হওয়ায় বহু রোগী রোগটি নিয়ে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করছেন। এতে তারা শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। অন্যদের মাঝে রোগটি ছড়ান।

তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে যক্ষ্মা রোগীদের জন্য ৬-১২ মাসের ওষুধ সেবনের কোর্স সময় কমিয়ে স্বল্প সময়ের ওষুধ আনা হচ্ছে। তাতে দুই মাস এবং এক মাসের কোর্স থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

যক্ষ্মা রোগ বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, দেশে ৫১ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী খুব উচ্চ পরিবহন খরচের কারণে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ নিতে কেন্দ্রে আসেন না। এজন্য রোগীদের কাছাকাছি যদি ফার্মেসিতে ওষুধ রাখা যায়, তাহলে তারা সহজেই ওষুধ নেবেন। ওষুধ সেবন করে তারা সুস্থ হবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা একটি জীবাণু ঘটিত রোগ। যে কোনো বয়সী নারী পুরুষের যে কোনো সময়ে যক্ষ্মা হতে পারে। হাঁচি কাশির মাধ্যমে যক্ষ্মারোগের সংক্রমণ ঘটে। যক্ষ্মা একটি প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য রোগ। কিছু নিয়ম মেনে চললে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা যায়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব রফিকুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/২৬ মার্চ/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: