ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না : প্রধানমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না, একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তাটা যাতে নিশ্চিত থাকে, প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন খাবার পৌঁছায়…হতদরিদ্র যারা আমরা তাদের মাঝে বিনা পয়সায় খাবার দিয়ে যাচ্ছি এবং এটা অব্যাহত রাখব সব সময়। একই সাথে প্রত্যেকটা মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে, তাদের দোরগোড়ায় আমরা চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিচ্ছি এবং কোনো মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না।”

বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা ভূ-খন্ডের দিক থেকে বাংলাদেশ আসলে খুবই ছোট। কিন্তু আজ আমাদের মানুষের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ১৬৫ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ১৭ কোটির কাছাকাছি। এই মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।”

সরকার প্রধান বলেন, “আসুন এই বিশ্বকে আমরা ক্ষুধামুক্ত করি। আর বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের একটাই চিন্তা জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারব।”

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মানুষকে সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যেন খাদ্যের সাথে সাথে পুষ্টির নিশ্চয়তা হয়, মানুষ যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তখন ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল বাংলাদেশ। এরপর খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে ২০০১ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করে তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিল।

কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে জাতির পিতার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশপাশি কৃষকদের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ এগুতে পারেনি। কারণ ১৯৭৫ এ যারা সরকার গঠন করেছিল মিলেটারি ডিক্টেটররা, তাদের একটা লক্ষ্য ছিল যে, বাংলাদেশ পরনির্ভরশীল হয়ে থাক। সেটাই তারা চেয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের প্রত্যেকটা কাজের লক্ষ্য কৃষকদের সুবিধা দেওয়া। সেদিকে লক্ষ্য রেখে যখনই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে তখনই আমরা সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছি খাদ্য উৎপাদনে। আমরা নিশ্চিত করেছি আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। খাদ্য নিশ্চয়তা রাখতে হবে। কারণ এই করোনাভাইরাসের কারণে যখন সারাবিশ্ব স্থবির তখন একটা দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যেন তার প্রভাব না পড়ে, বাংলাদেশের মানুষ যেন এ ব্যাপারে কোন কষ্টভোগ না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি।”

এই সময় গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল প্রান্তে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/১৬ অক্টোবর, ২০২০/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না : প্রধানমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না, একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তাটা যাতে নিশ্চিত থাকে, প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন খাবার পৌঁছায়…হতদরিদ্র যারা আমরা তাদের মাঝে বিনা পয়সায় খাবার দিয়ে যাচ্ছি এবং এটা অব্যাহত রাখব সব সময়। একই সাথে প্রত্যেকটা মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে, তাদের দোরগোড়ায় আমরা চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিচ্ছি এবং কোনো মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না।”

বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা ভূ-খন্ডের দিক থেকে বাংলাদেশ আসলে খুবই ছোট। কিন্তু আজ আমাদের মানুষের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ১৬৫ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ১৭ কোটির কাছাকাছি। এই মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।”

সরকার প্রধান বলেন, “আসুন এই বিশ্বকে আমরা ক্ষুধামুক্ত করি। আর বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের একটাই চিন্তা জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারব।”

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মানুষকে সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যেন খাদ্যের সাথে সাথে পুষ্টির নিশ্চয়তা হয়, মানুষ যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তখন ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল বাংলাদেশ। এরপর খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে ২০০১ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করে তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিল।

কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে জাতির পিতার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশপাশি কৃষকদের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ এগুতে পারেনি। কারণ ১৯৭৫ এ যারা সরকার গঠন করেছিল মিলেটারি ডিক্টেটররা, তাদের একটা লক্ষ্য ছিল যে, বাংলাদেশ পরনির্ভরশীল হয়ে থাক। সেটাই তারা চেয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের প্রত্যেকটা কাজের লক্ষ্য কৃষকদের সুবিধা দেওয়া। সেদিকে লক্ষ্য রেখে যখনই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে তখনই আমরা সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছি খাদ্য উৎপাদনে। আমরা নিশ্চিত করেছি আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। খাদ্য নিশ্চয়তা রাখতে হবে। কারণ এই করোনাভাইরাসের কারণে যখন সারাবিশ্ব স্থবির তখন একটা দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যেন তার প্রভাব না পড়ে, বাংলাদেশের মানুষ যেন এ ব্যাপারে কোন কষ্টভোগ না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি।”

এই সময় গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল প্রান্তে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/১৬ অক্টোবর, ২০২০/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: