বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়নে বেশি গুরুত্ব পাবে মাধ্যমিকের (এসএসসি) ফল। আর যারা এসএসসির পর বিভাগ পরিবর্তন করেছেন তাদের গড় রেজাল্ট তৈরি করতে কাজে লাগানো হবে আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতা— এমন পরিকল্পনা নিয়েই উচ্চ মাধ্যমিকে এইসএসসির মূল্যায়নের চিন্তা করছে এ সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
জানা গেছে, সব মিলিয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে পরীক্ষার বিকল্প মূল্যায়ের উপায় খুঁজছে সরকার। এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে এ সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প মূল্যায়নে জেএসসি ও এসএসসির ফল মূল্যায়ন করে ফলাফল তৈরি করার কথা বলা হলেও অষ্টম শ্রেণির সমাপনীর চেয়ে গুরুত্ব পাবে এসএসসির ফল। সেই সঙ্গে যারা এসএসসির পর বিভাগ পরিবর্তন করেছেন তাদের গড় রেজাল্ট তৈরির সময় আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে।
এ প্রসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য সচিব ও আন্তবোর্ড সমন্বয়ক প্রফেসর মু. জিয়াউল হক বলেন, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় মূলত একই বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। পরীক্ষার যে গড় ফল আসে তা সবসময় কাছাকাছি থাকে। এখন দেখা হচ্ছে, আগের বছরগুলোতে পরীক্ষার ফল কী রকম হয়েছে, সেখানে যারা বিভাগ পরিবর্তন করে এসেছিলো তাদের কী কী পরিবর্তন হয়েছে। এসব তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা একটি সমন্বয় করার একটা সূত্র খুঁজে পাব।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কথা আগে চিন্তা করতে হবে। সেদিক থেকে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ঠিক আছে। কিন্তু অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে উচ্চ মাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এভাবে মূল্যায়ন না করে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করা যেতো।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে একাধিক প্রশ্নপত্রের সেট তৈরি করে একেক জেলায় আলাদা আলাদা দিনে পরীক্ষা নেওয়া যেতো। তিনি আরো বলেন, যারা ফেল করেছে তাদের কী হবে, সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। এখানে অনেকগুলো বিষয় আছে।
এ প্রসঙ্গে বোর্ড সমন্বয় প্রফেসর মু. জিয়াউল হক বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি পরীক্ষার যে বিকল্প মূল্যায়ন করা হচ্ছে তার সুফল পেতে পারে গেল বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা শিক্ষার্থীরা। তিনি বলেন, কে উত্তীর্ণ হবে আর কে হতে পারবে না, সেটা এই প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। ফলে এই শিক্ষার্থীরা একটা সুবিধা পেয়েই যাচ্ছে।
বিজনেস আওয়ার/১৭ অক্টোবর, ২০২০/এ