স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে এই স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছিলো দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু সবাইকে হতাশ হতে হচ্ছিলো মাঠটিকে খেলার আসল জায়গা পিচ না থাকতে দেখে।
ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আসল জায়গাটাই তো হলো পিচ। কিন্তু সেটা কোথায়? এতদিন সেই জ্বল্পনা সবার মনে উঁকি দিলেও অবশেষে তার সমাধান মিলেছে। একটি-দুটি নয়, ফ্লোরিডা থেকে মোট ১০টি ড্রপ-ইন পিচকে মোট ২০টি সেটি ট্রেইলার ট্রাকে করে আনা হয়েছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। আইসিসি’ই জানিয়েছে এ খবর।
মূলত নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের জন্য ফ্লোরিডায় ড্রপ-ইন পিচ তৈরির কাজ শুরু হয় গত ডিসেম্বরের শেষ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে পিচ তৈরি করা হয়, সেই একই পদ্ধতি মেনে এই পিচগুলিও তৈরি করা হয়েছে। তত্ত্বাবধানে রয়েছেন অ্যাডিলেডের প্রধান কিউরেটর ডামিয়ান হাফ।
হাফ জানিয়েছেন, ফ্লোরিডা থেকে পিচগুলো বহন করে আনতে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি তাদেরকে। সবগুলোই সুন্দরভাবে ডেলিভারি করা গেছে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। যেখানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বাকপের মোট ৮টি ম্যাচ। দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৪ হাজার। ৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচটি প্রথম অনুষ্ঠিত হবে নাসাউ স্টেডিয়ামে।
আইসিসি জানিয়েছে, ‘তাহোমা ৩১ বারমুডা ঘাস দিয়ে তৈরি হয়েছে পিচ। অ্যাডিলেডের পাশাপাশি আমেরিকার একটি সংস্থাও সাহায্য করেছে। গত তিন মাস ধরে রক্ষণাবেক্ষণ এবং যত্ন নেওয়া হয়েছে।’
যে ১০টি পিচ তৈরি করে আনা হয়েছে, এর মধ্যে নাসাউ স্টেডিয়ামে চারটি পিচ বসানো। বাকি ছয়টি থাকবে পাশের প্র্যাকটিস মাঠের জন্য। বিশ্বকাপের সময় অ্যাডিলেড টার্ফ সল্যুশনের দলটি থাকবে পিচ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
আইসিসি-র ইভেন্ট কমিটির প্রধান ক্রিস টেটলি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অতীতে দেখা যায়নি, এমন একটি ঘটনা ঘটতে চলেছে। আমরা নিখুঁত পরিকল্পনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়েছি। আটটি ম্যাচই যাতে সুষ্ঠ ভাবে করা যায়, তার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
বিজনেস আওয়ার/০১ মে/ রানা