স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা নিয়ে দোটানায় পড়েছে পাকিস্তান। যার মূল কারণ, দেশটিতে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া। তবে কোহলি-রোহিতদের পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স খেলা নিশ্চিত করতে ভারতকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ ও ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, আইসিসির কাছে গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খসড়া সূচি জমা দিয়েছে পিসিবি। ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম আর রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি স্টেডিয়ামকে। ফাইনাল হওয়ার কথা লাহোরে। যেহেতু ভারত নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে দল পাঠাতে চায় না, তাই তাদের ম্যাচ একটি শহরেই আয়োজন করা হবে। সেটা লাহোর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ক্রিকেট পাকিস্তান তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, অবকাঠামোগত এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ কমানোর কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের সব ম্যাচ একটি শহরেই আয়োজন করতে চায় পিসিবি।
স্টেডিয়ামের কাছের হোটেলেই ভারতীয় দলকে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় রাখা হবে। তা ছাড়া লাহোর আত্তারি-ওয়াগা সীমান্ত থেকে কাছাকাছি দূরত্বে হওয়ায় ভারতের সমর্থকদের জন্য ভ্রমণ বেশ সহজ হবে। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজও এক ভেন্যুতে ভারতের সব ম্যাচ আয়োজনে পিসিবির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
ভারতের একটি সূত্র জিও নিউজের সংবাদদাতাকে বলেছেন, ‘পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত ভারত প্রস্তাবিত হিসেবে বিবেচনা করে যাবে। বছরের শেষ দিকে বিসিসিআই যখন (ভারত) সরকারের কাছে অনুমোদন চাইবে, আমরা তখনই জানাতে পারব। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক তখন কোন পর্যায়ে থাকবে, সেটার ওপর নির্ভর করছে।’
বিরাজমান অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ভারতসহ সব দলকে সঙ্গে নিয়েই ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
পিসিবি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আমরা পুরো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানেই আয়োজন করতে চাই। আমরা এরই মধ্যে আইসিসিতে সূচি জমা দিয়েছি। আইসিসির নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে এসেছিল। তারা আমাদের আয়োজন দেখে খুব খুশি।’
ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এক শহরে ভারতের ম্যাচ আয়োজন করলে, লজিস্টিকস এবং ভ্রমণকেন্দ্রিক নিরাপত্তাজনিত মাথাব্যথা কমে যায় পিসিবির।
২০০৮ এশিয়া কাপের পর থেকে আর কোনো ভারতীয় দল পাকিস্তানে সফর করেনি। ওই বছরই মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে ক্রমাগত।
বিজনেস আওয়ার/০২ মে/ রানা