বিনোদন ডেস্ক: গত বছর একরকম মৃত্যুর মুখ থেকেই ফিরেছেন বলিউড অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে। শুটিং চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হন এই অভিনেতা। টানা ১০ মিনিট অভিনেতার হার্ট বন্ধ ছিল বলেই জানা যায়। তবে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন অভিনেতা।
সম্প্রতি ভয়াবহ সেই মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করলেন শ্রেয়াস। সেই সঙ্গে জানালেন এক বিস্ফোরক তথ্য। নিজের হার্ট অ্যাটাকের জন্য করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে দায়ী করলেন শ্রেয়াস।
সম্প্রতি কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা লন্ডনের আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে, তাঁদের ভ্যাকসিনে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
এই ভ্যাকসিনের কারণে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা টিটিএস নামের বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। প্রভাব পড়েছে ভারতেও। এদেশে ভ্যাকসিন তৈরির দায়িত্ব ছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের উপর।
সেই সেরামের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই নিজের হার্ট অ্যাটাক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন শ্রেয়াস।
‘লেহরেন রেট্রো’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমি ধুমপান করি না। রেগুলার ড্রিঙ্কারও নই। মাসে হয়তো একবার ড্রিঙ্ক করলাম।
এছাড়া আর কোনও তামাক নয়। হ্যাঁ, আমার কোলেস্টেরল একটু বেশি। আমায় বলা হয়েছিল আজকাল এটাই স্বাভাবিক। এর চিকিৎসাও করিয়েছিলাম আর তাতে ফলও পেয়েছিলাম। যদি বাকি কারণ ধরি তাহলে ডায়াবেটিস নেই, ব্লাড প্রেশার নেই, কিছুই তো নেই! তাহলে কারণ কী হতে পারে?’
এর পরই অভিনেতা বলেন, ‘কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার পর থেকেই ক্লান্তি অনুভূত হতে থাকে আমার। কিছু সত্যি তো থাকবে, আমরা পুরো থিওরি অস্বীকার করতে পারি না। হতে পারে এটি কোভিড বা ভ্যাকসিন, এর সঙ্গে কিছু না কিছু তো আছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা সত্যিই জানি না আমাদের শরীরের ভিতরে কী আছে। হুজুকে বয়ে গিয়েছি আর কোম্পানিগুলোকে বিশ্বাস করেছি। এমন কোনও ঘটনা কিন্তু কোভিড-১৯-এর আগে শুনিনি।’
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে আসন্ন চলচ্চিত্র ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’-এর শ্যুটিংয়ের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন শ্রেয়াস। মুম্বাইয়ের বেলভিউ হাসপাতালে এনঞ্জিওপ্লাস্টি করানো হয় অভিনেতার। সেসময় অভিনেতা বলেছিলেন, ‘ক্লিনিক্যালি আমি মরে গিয়েছিলাম। আমার হার্ট অ্যাটাকটা মারাত্মক ছিল। এটা যেন জীবন আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিল।’
বিজনেস আওয়ার/০৫ মে/ রানা