স্পোর্টস ডেস্কঃ আচ্ছা! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ বিজয় কী টাইগারদেরকে বিশ্বকাপে ভুল বার্তা দেবে? অতি দুর্বল জিম্বাবুইয়ানদের হারিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল কী নিজেদের আবার অনেক শক্তিশালী, সমৃদ্ধ দল ভাবতে শুরু করে দেবে?
অতীত ইতিহাস কিন্তু তাই বলে। আগেরবার বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে ঠেলাগাড়ির গতি আর নিচু বাউন্সি ও খানিক স্পিন সহায়ক উইকেটে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মত দলকে হারিয়ে নিজেদের সত্যিকার বাঘ ভেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ; কিন্তু সেখানে গিয়ে কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছিল টাইগাররা।
এবার কমজোরি ও জীর্ণ-শীর্ণ জিম্বাবুইয়ানদের ওপর একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করা জয়েও কী তেমন ধারনার উদ্রেক ঘটবে শান্ত, হৃদয়, জাকের আলী অনিক, তাসকিন, রিশাদ, সাইফউদ্দীন ও মেহদিদের মধ্যে?
বাংলাদেশ দলের প্রধান স্ট্রাইক বোলার তাসকিনের মনে হয়, নাহ! তা হবে না। তার ব্যাখ্যা, ‘ফেক কনফিডেন্স না। ভালো খেলতে পারলে তো যে কোনো জায়গায় কনফিডেন্স বুস্ট আপ হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই পারফরমেন্স দলকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করবে, এমন চিন্তা করলেও তাসকিন জানেন পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই মুখে এমন কথা, ‘কন্ডিশনের দিক থেকে চিন্তা করলে, আমরা জানি না যে যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন কেমন হবে। মোস্টলি ড্রপ-ইন উইকেটে খেলা হতে পারে। আমি নিশ্চিত আমাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়েরই সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা কম। ওখানে গিয়ে আসলে নতুনভাবে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা বাংলাদেশে খেলি এবং খেলতে হবে। কন্ডিশন তো আমরা চেঞ্জ করতে পারব না! যদি আরেকটু স্পোর্টিং কন্ডিশন হইতো, তাহলে হয়তোবা বেটার হইতো; কিন্তু স্টিল আমাদের কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে।’
তাসকিন আরও যোগ করেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা, যখন ইউএসএতে যাব, তখন কিন্তু পুরো নতুনভাবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। একটা ভালো দিক হচ্ছে সেখানে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনটা ম্যাচ খেলব। ওখানে একটু আর্লি অ্যাডজাস্টমেন্টের হেল্প পাওয়া যাইতে পারে।’
বিজনেস আওয়ার/০৯ মে/ রানা