ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একের পর এক প্রস্তাব আসছে : আফরা শাইয়ারা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
  • 111

বিনোদন ডেস্কঃ সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ুনের পরিচালনায় অভিষেক ঘটেছে আফরা শাইয়ারা। তাঁর ‘পটু’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। আফরার সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।

আজ থেকে তো আপনি অফিশিয়ালি নায়িকা।

কেমন লাগছে?

এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এমনিতে আমি খুব ইমোশনাল, আনন্দে মনে হয় কেঁদে ফেলব। কখনো কল্পনাই করিনি যে নিজেকে বড় পর্দায় দেখব। ছোটবেলা থেকে নৃত্যের সঙ্গে আছি।

মা-বাবা খুব সংস্কৃতিমনা। তাঁদের অনুপ্রেরণায়ই নাচ শেখা। পাঁচ বছর আগে ঢাকায় এলাম। যোগ দিলাম র‌্যাম্পে।

ভেবেছিলাম এইতো অনেক! আর কিছু চাওয়ার নেই। বড় পর্দায় সুযোগ পেয়ে চাহিদা আরো বেড়ে গেছে। এখন আমার স্বপ্ন সেরা অভিনেত্রী হওয়া। এমন কিছু কাজ করতে চাই যেগুলো বছরের পর বছর মানুষ মনে রাখবে।

‘পটু’র সঙ্গে যুক্ত হলেন কিভাবে?

এই ছবির নায়ক ইভান সাইর আমার পুরনো বন্ধু।

সে জানিয়েছিল, পরিচালক হুমায়ুন ভাই ও জাজ মাল্টিমিডিয়া ‘পটু’র জন্য নতুন নায়িকা খুঁজছে। মেইল আইডি নিয়ে আমার ছবি ও বায়োডাটা পাঠিয়ে দিই। এরপর তাঁরা আমাকে ডাকেন, অডিশন নেন। সত্যি বলতে, শুটিংয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারিনি যে এই ছবির নায়িকা আমিই হচ্ছি!
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

আগে তো ক্যামেরার সামনে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না। শুধু র‌্যাম্প মডেলিং করেছি। কোনো বিজ্ঞাপনচিত্র বা নাটকও করিনি। ফলে প্রথম দিকে একটু ঝামেলা হয়েছে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল, লাইট—এসব বুঝতে সময় লেগেছে। তবে পরিচালক ও ছবির ইউনিট খুব সহযোগিতা করেছে আমাকে। আমরা রাজশাহীর একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করেছি। অনেক প্রতিকূল পরিবেশে কাজটা করা হয়েছে। সবাই অনেক ডেডিকেটেড ছিলেন বলেই ভালোভাবে কাজটা করতে পেরেছি। সময় যত গড়িয়েছে আমার কাছে ততই শুটিংটা উপভোগ্য লেগেছে।

ছবিটি দর্শক পছন্দ করবে? কী মনে হয় আপনার?

টিজার ও ট্রেলার প্রকাশের পর সবাই খুব পজিটিভ রিভিউ করেছেন। বিশেষ করে তরুণ দর্শক অপেক্ষায় ছিল ছবিটির। আমাদের টার্গেটও কিন্তু এ শ্রেণিটা। সে কারণেই প্রথম সপ্তাহে বাছাই করা হলগুলোতে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা ও ডাবিংয়ে পুরো ছবিটা কয়েকবার দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে, ভালো একটা ছবি। আমি ভার্সিটিপড়ুয়া, নিশ্চয়ই ভালো-মন্দ বোঝার কিছু ক্ষমতা আমার হয়েছে।

অভিনয়ে আপনার আইডল কে? কার কার অভিনয় ভালো লাগে?

বেশির ভাগ অভিনেত্রীই তো যশোর-খুলনার (হা হা হা)। বলতে পারেন, আমরা অভিনয়গুণটা নিয়েই জন্মাই। সিনিয়রদের মধ্যে সুচন্দা ম্যাডাম, ববিতা ম্যাডামদের অভিনয় খুব ভালো লাগে আমার। আর এই সময়ের অভিনেত্রীদের মধ্যে বলব নুসরাত ফারিয়া আপুর নাম। তাঁর কিউটনেস খুব টানে আমাকে। কী সুন্দর নাচেন তিনি! অভিনয়-গান সব দিকেই পারদর্শী। আমি তাঁর কঠিন ভক্ত।

পড়াশোনা করছেন কী নিয়ে?

আমি বিবিএ করছি একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম বর্ষে আছি। পড়াশোনার বেশ চাপ যাচ্ছে, সামনেই পরীক্ষা।

অভিনয় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

‘পটু’র টিজার প্রকাশের পর থেকেই অনেক নির্মাতার ফোন পাচ্ছি। একের পর এক প্রস্তাব আসছে। তবে এখনো কাউকে ‘হ্যাঁ’ বলিনি। আসলে ‘পটু’র রেজাল্ট দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করছি, ছবিটি সফল হবে। তখন বাছাই করে ছবি হাতে নেব। কিছু ওয়েব ছবি ও সিরিজের কথাও চলছে। সব ঠিক থাকলে এ বছর ওটিটি প্ল্যাটফরমেও আমার অভিষেক ঘটবে।

বিজনেস আওয়ার/১০ মে/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

একের পর এক প্রস্তাব আসছে : আফরা শাইয়ারা

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

বিনোদন ডেস্কঃ সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ুনের পরিচালনায় অভিষেক ঘটেছে আফরা শাইয়ারা। তাঁর ‘পটু’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। আফরার সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।

আজ থেকে তো আপনি অফিশিয়ালি নায়িকা।

কেমন লাগছে?

এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এমনিতে আমি খুব ইমোশনাল, আনন্দে মনে হয় কেঁদে ফেলব। কখনো কল্পনাই করিনি যে নিজেকে বড় পর্দায় দেখব। ছোটবেলা থেকে নৃত্যের সঙ্গে আছি।

মা-বাবা খুব সংস্কৃতিমনা। তাঁদের অনুপ্রেরণায়ই নাচ শেখা। পাঁচ বছর আগে ঢাকায় এলাম। যোগ দিলাম র‌্যাম্পে।

ভেবেছিলাম এইতো অনেক! আর কিছু চাওয়ার নেই। বড় পর্দায় সুযোগ পেয়ে চাহিদা আরো বেড়ে গেছে। এখন আমার স্বপ্ন সেরা অভিনেত্রী হওয়া। এমন কিছু কাজ করতে চাই যেগুলো বছরের পর বছর মানুষ মনে রাখবে।

‘পটু’র সঙ্গে যুক্ত হলেন কিভাবে?

এই ছবির নায়ক ইভান সাইর আমার পুরনো বন্ধু।

সে জানিয়েছিল, পরিচালক হুমায়ুন ভাই ও জাজ মাল্টিমিডিয়া ‘পটু’র জন্য নতুন নায়িকা খুঁজছে। মেইল আইডি নিয়ে আমার ছবি ও বায়োডাটা পাঠিয়ে দিই। এরপর তাঁরা আমাকে ডাকেন, অডিশন নেন। সত্যি বলতে, শুটিংয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারিনি যে এই ছবির নায়িকা আমিই হচ্ছি!
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

আগে তো ক্যামেরার সামনে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না। শুধু র‌্যাম্প মডেলিং করেছি। কোনো বিজ্ঞাপনচিত্র বা নাটকও করিনি। ফলে প্রথম দিকে একটু ঝামেলা হয়েছে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল, লাইট—এসব বুঝতে সময় লেগেছে। তবে পরিচালক ও ছবির ইউনিট খুব সহযোগিতা করেছে আমাকে। আমরা রাজশাহীর একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করেছি। অনেক প্রতিকূল পরিবেশে কাজটা করা হয়েছে। সবাই অনেক ডেডিকেটেড ছিলেন বলেই ভালোভাবে কাজটা করতে পেরেছি। সময় যত গড়িয়েছে আমার কাছে ততই শুটিংটা উপভোগ্য লেগেছে।

ছবিটি দর্শক পছন্দ করবে? কী মনে হয় আপনার?

টিজার ও ট্রেলার প্রকাশের পর সবাই খুব পজিটিভ রিভিউ করেছেন। বিশেষ করে তরুণ দর্শক অপেক্ষায় ছিল ছবিটির। আমাদের টার্গেটও কিন্তু এ শ্রেণিটা। সে কারণেই প্রথম সপ্তাহে বাছাই করা হলগুলোতে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা ও ডাবিংয়ে পুরো ছবিটা কয়েকবার দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে, ভালো একটা ছবি। আমি ভার্সিটিপড়ুয়া, নিশ্চয়ই ভালো-মন্দ বোঝার কিছু ক্ষমতা আমার হয়েছে।

অভিনয়ে আপনার আইডল কে? কার কার অভিনয় ভালো লাগে?

বেশির ভাগ অভিনেত্রীই তো যশোর-খুলনার (হা হা হা)। বলতে পারেন, আমরা অভিনয়গুণটা নিয়েই জন্মাই। সিনিয়রদের মধ্যে সুচন্দা ম্যাডাম, ববিতা ম্যাডামদের অভিনয় খুব ভালো লাগে আমার। আর এই সময়ের অভিনেত্রীদের মধ্যে বলব নুসরাত ফারিয়া আপুর নাম। তাঁর কিউটনেস খুব টানে আমাকে। কী সুন্দর নাচেন তিনি! অভিনয়-গান সব দিকেই পারদর্শী। আমি তাঁর কঠিন ভক্ত।

পড়াশোনা করছেন কী নিয়ে?

আমি বিবিএ করছি একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম বর্ষে আছি। পড়াশোনার বেশ চাপ যাচ্ছে, সামনেই পরীক্ষা।

অভিনয় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

‘পটু’র টিজার প্রকাশের পর থেকেই অনেক নির্মাতার ফোন পাচ্ছি। একের পর এক প্রস্তাব আসছে। তবে এখনো কাউকে ‘হ্যাঁ’ বলিনি। আসলে ‘পটু’র রেজাল্ট দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করছি, ছবিটি সফল হবে। তখন বাছাই করে ছবি হাতে নেব। কিছু ওয়েব ছবি ও সিরিজের কথাও চলছে। সব ঠিক থাকলে এ বছর ওটিটি প্ল্যাটফরমেও আমার অভিষেক ঘটবে।

বিজনেস আওয়ার/১০ মে/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: