ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালের বকেয়া ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা পরিশোধে ফিফার নির্দেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
  • 144

স্পোর্টস ডেস্কঃ সাত মাস কোনো বেতন পরিশোধ করা ছাড়াই জামাল ভূঁইয়াকে খেলিয়েছে আর্জেন্টিনার তৃতীয় শ্রেণির ক্লাব সোল দে মায়ো। এভাবে আর কতদিন! অবশেষে একতরফা সিদ্ধান্ত নেন জামাল। দেড় বছরের চুক্তি ভেঙে আর্জেন্টিনার এই ক্লাব ছেড়ে চলে আসেন তিনি। এরপর নিজের দেশীয় ক্লাব আবাহনী লিমিটেডে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক।

ক্লাব ছাড়লেও নিজের পাওনা আদায়ে সোচ্চার ছিলেন জামাল। বকেয়া বেতন পেতে অভিযোগ করেছিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের (ফিফা) ট্রাইব্যুনালে। অবশেষে জামালের পক্ষে রায় দিয়েছেন ফিফার আদালত। রায়ে জামালকে এক লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ অর্থ জামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ফিফার ট্রাইব্যুনাল।। অর্থ পরিশোধে সোল দে মায়োকে ৪৫ দিন সময় দিয়েছে ফিফা।

ফিফার এই রায়ে বকেয়া বেতনের পাশাপাশি আরও কিছু অর্থ পাচ্ছেন জামাল। বাংলাদেশি এই ফুটবলারকে ঠিকমতো বেতন পরিশোধ না করে সোল দে মায়া যে আইন ভঙ্গ করেছে, সেজন্য তাদের ৭১ হাজার ডলার জরিমানা করেছে ফিফা। এই অর্থও যোগ করা হয়েছে বকেয়া বেতনের সঙ্গে। এছাড়া ৫ শতাংশ সুদও দিতে হয়েছে সোল দে মায়োকে।

তবে ফিফার রায়ের বিপক্ষে আপিল করার সুযোগ আছে সোল দে মায়োর। এর জন্য সময় হাতে আছে ১০ দিন। তবে আপিলে যদি রায়ের কোনো পরিবর্তন না হয় তাহলে সময়মতো জামালকে বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। আর যদি ঠিকমতো বেতন পরিশোধ করতে না পারে তাহলে সোল দে মায়োর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে ফিফা। এতে কোনো দেশি বা বিদেশি খেলোয়াড়ের সঙ্গে আর কোনো চুক্তি করতে পারবে না ক্লাবটি।

সোল দে মায়োতে মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলেছেন জামাল। গোল করেছেন দুটি। তবে যে আশা নিয়ে লিওনেল মেসিদের ক্লাব ফুটবলে যোগ দিয়েছেন জামাল, তার কোনো কিছুই পূরণ হয়নি। অবশেষে একরমক হতাশা ও ক্ষোভ নিয়ে আর্জেন্টিনা ছাড়তে হয় জামালকে। আবাহনীতে যোগ দিলেও পারফরম্যান্সের অবনতির কারণে নিয়মিত খেলার সুযোগ মিলছে না তার।

২০২১ সালে ভারতের আই লিগে কলকাতা মোহামেডানের জার্সিতেও খেলেছিলেন জামাল। ২০১৩ সালে ডেনমার্ক থেকে এসে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলা শুরু করেন তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে ৮০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

বিজনেস আওয়ার/১০ মে/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জামালের বকেয়া ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা পরিশোধে ফিফার নির্দেশ

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্কঃ সাত মাস কোনো বেতন পরিশোধ করা ছাড়াই জামাল ভূঁইয়াকে খেলিয়েছে আর্জেন্টিনার তৃতীয় শ্রেণির ক্লাব সোল দে মায়ো। এভাবে আর কতদিন! অবশেষে একতরফা সিদ্ধান্ত নেন জামাল। দেড় বছরের চুক্তি ভেঙে আর্জেন্টিনার এই ক্লাব ছেড়ে চলে আসেন তিনি। এরপর নিজের দেশীয় ক্লাব আবাহনী লিমিটেডে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক।

ক্লাব ছাড়লেও নিজের পাওনা আদায়ে সোচ্চার ছিলেন জামাল। বকেয়া বেতন পেতে অভিযোগ করেছিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের (ফিফা) ট্রাইব্যুনালে। অবশেষে জামালের পক্ষে রায় দিয়েছেন ফিফার আদালত। রায়ে জামালকে এক লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ অর্থ জামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ফিফার ট্রাইব্যুনাল।। অর্থ পরিশোধে সোল দে মায়োকে ৪৫ দিন সময় দিয়েছে ফিফা।

ফিফার এই রায়ে বকেয়া বেতনের পাশাপাশি আরও কিছু অর্থ পাচ্ছেন জামাল। বাংলাদেশি এই ফুটবলারকে ঠিকমতো বেতন পরিশোধ না করে সোল দে মায়া যে আইন ভঙ্গ করেছে, সেজন্য তাদের ৭১ হাজার ডলার জরিমানা করেছে ফিফা। এই অর্থও যোগ করা হয়েছে বকেয়া বেতনের সঙ্গে। এছাড়া ৫ শতাংশ সুদও দিতে হয়েছে সোল দে মায়োকে।

তবে ফিফার রায়ের বিপক্ষে আপিল করার সুযোগ আছে সোল দে মায়োর। এর জন্য সময় হাতে আছে ১০ দিন। তবে আপিলে যদি রায়ের কোনো পরিবর্তন না হয় তাহলে সময়মতো জামালকে বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। আর যদি ঠিকমতো বেতন পরিশোধ করতে না পারে তাহলে সোল দে মায়োর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে ফিফা। এতে কোনো দেশি বা বিদেশি খেলোয়াড়ের সঙ্গে আর কোনো চুক্তি করতে পারবে না ক্লাবটি।

সোল দে মায়োতে মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলেছেন জামাল। গোল করেছেন দুটি। তবে যে আশা নিয়ে লিওনেল মেসিদের ক্লাব ফুটবলে যোগ দিয়েছেন জামাল, তার কোনো কিছুই পূরণ হয়নি। অবশেষে একরমক হতাশা ও ক্ষোভ নিয়ে আর্জেন্টিনা ছাড়তে হয় জামালকে। আবাহনীতে যোগ দিলেও পারফরম্যান্সের অবনতির কারণে নিয়মিত খেলার সুযোগ মিলছে না তার।

২০২১ সালে ভারতের আই লিগে কলকাতা মোহামেডানের জার্সিতেও খেলেছিলেন জামাল। ২০১৩ সালে ডেনমার্ক থেকে এসে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলা শুরু করেন তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে ৮০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

বিজনেস আওয়ার/১০ মে/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: