স্পোর্টস ডেস্কঃ হকি লিগের শিরোপার মীমাংসা হচ্ছে হয়তো ফেডারেশনের টেবিলে। প্লে অফ খেলতে হয়তো আর মাঠে নামতে হবে না আবাহনী-মেরিনার ইয়াংসকে। এই দোলাচলে নতুন প্রশ্ন উঠে গেছে, হকির মৌসুম কি তবে এখানেই শেষ?
এবার ঊষার জার্সি গায়ে খেলা হাসান জুবায়ের লিগ শেষ হওয়ার পরও একা একাই নিজের ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করছেন, ‘সামনে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হতে পারে। জাতীয় দলেরও যদি কোনো খেলা পড়ে, সে জন্য ফিটনেসটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
’প্রায় আড়াই বছর পর মাঠে গড়ানো ঘরোয়া হকিতে শুরুর দিকে দেখা গেছে খেলোয়াড়দের জড়তা। ক্রমে তাঁরা ফিটনেসের দিক দিয়ে, পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে শীর্ষে ফিরেছেন। ঠিক সে সময়ই আবার লিগেরও যবনিকা পতন। এই খেলোয়াড়রা এখন মাঠে থাকার জন্য তেতে আছেন।
ফেডারেশনই পারে তাঁদের ঘরোয়া মৌসুমটাকে প্রলম্বিত করতে। এ বছর শহীদ স্মৃতি টুর্নামেন্ট বা স্বাধীনতা কাপের মতো আসরও হয়নি। লিগ শেষে এ মাসেই একটি করপোরেট টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেটি এখনো বাস্তবে রূপ নেয়নি।
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ জানিয়েছেন, পরিকল্পনা থাকলেও আর্থিক সংকটেই এমন একটি আসর শুরু করতে তাঁদের দেরি হচ্ছে।
২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে হয়েছিল দেশের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি হকি লিগ। প্রতিবছর এই টুর্নামেন্ট করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও দ্বিতীয় আসর মুখ দেখাতে এখনো সময় নিচ্ছে। গতবার ছয় দল নিয়ে হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। ফেডারেশন সম্পাদক জানিয়েছেন, এর তিনটিই এবার দল গড়ছে না।
তাই নতুন দল খুঁজতে হচ্ছে ফেডারেশনকে, ‘ওয়ালটন, সাইফ পাওয়ার টেক, মেট্রো এক্সপ্রেস এবার থাকবে না। যে প্রতিষ্ঠান এ টুর্নামেন্টটা করছে, তারাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল গত বছর বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে। আমরা ওদের তবু অনুরোধ করেছি। তারাও এখন চায় ফেডারেশন যেন কয়েকটি দলের ব্যবস্থা করে। সেটি নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি।’ ফলে শিগগিরই এই টুর্নামেন্ট শুরু করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ফেডারেশনের জন্য। খেলোয়াড়দের গত বছরের বেশ কিছু বকেয়াও আছে।
ঝামেলার সব পাট চুকিয়ে হকি মৌসুমের ‘আয়ু’ বাড়ানো জরুরি। নয়তো দীর্ঘ বিরতিতে আবার আলস্য ভর করবে হকিতে।
বিজনেস আওয়ার/১৬ মে/ রানা