বিনোদন ডেস্ক: একেবারেই নন-ফিল্মি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন বলিউডের বড় মঞ্চে। রাজকুমার রাওয়ের বড় শক্তি অভিনয়ক্ষমতা। ১৪ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সব চরিত্র করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সাফল্য পেতে তারকারা যে পথ ধরেন, রাজকুমার ধরেন তার ঠিক উল্টো পথ।
‘সিটিলাইটস’,‘আলিগড়’,‘ট্র্যাপড’,‘বেরেলি কি বরফি’,‘নিউটন’,‘লুডো’র মতো সিনেমার পর এবার ‘শ্রীকান্ত’-এ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছলেন রাজকুমার।
১০ মে মুক্তির পর থেকে প্রশংসায় ভেসে চলেছেন অভিনেতা। দ্য হিন্দু সিনেমাটির সমালোচনায় লিখেছে, ‘জন্মান্ধের ভূমিকায় সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যেই রাজকুমার যেন অভিনয়ের পাঠ শেখালেন।’
ভারতীয় উদ্যোক্তা শ্রীকান্ত বোল্লার বায়োপিক ‘শ্রীকান্ত’।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের মাছিলিপত্তনমের এক কৃষক পরিবারে জন্ম শ্রীকান্তের। জন্মের আগেই বাবা চাইতেন তাঁর ছেলে হোক, তাকে বানাবেন ক্রিকেটার। ছেলে হলো ঠিকই, কিন্তু শিশুটি অন্ধ। নবজাতককে জীবন্ত কবর দিতে চান বাবা।
সেই থেকে শুরু হয় শিশুটির বেঁচে থাকার লড়াই। স্কুলে সহপাঠীদের টপকে সেরা ছাত্র শ্রীকান্ত। অন্ধ হওয়ায় আইআইটিতে ভর্তি হতে পারে না সে। অবশেষে তাকে স্বাগত জানায় আমেরিকার এমআইটি। শ্রীকান্তের ইচ্ছা ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়া।
এমন একটি বাস্তব চরিত্র হয়ে ওঠার জন্য যা যা করা দরকার সবই করেছেন রাজকুমার। জন্মান্ধ ব্যক্তির শারীরিক ভাষা কেমন হওয়া উচিত তা নিখুঁতভাবে দেখিয়েছেন অভিনেতা। শুটিং শুরুর আগে শ্রীকান্ত বোল্লার সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন রাজকুমার। শ্রীকান্তের ক্রোধ, অহংকার ও নৈরাশ্যকে রাজকুমার দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেকের মতে, ‘রাজকুমার রাও ব্যতীত এই চরিত্র আর কেউ করতেই পারতেন না।’
শুধু অভিনয়েই নয়, রাজকুমার অভিনীত সিনেমাটি বক্স অফিসেও বেশ দাপট দেখাচ্ছে। অল্প বাজেটের সিনেমাটি এরই মধ্যে ২০ কোটি রুপি আয় করে নিয়েছে। সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা, আলায়া এফ, শারদ কেলকার।
বিজনেস আওয়ার/১৬ মে/ রানা