বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়।
প্রায় সব প্যাকেটের গায়েই খাবারের বিশদ বিবরণসহ নানা তথ্য থাকে। এই তথ্যগুলো মূলত গ্রাহকদের উপকারের জন্যই। তবুও অনেকেই তা পড়ে পণ্যটি কেনেন না। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাকেজড খাবারের গায়ের তথ্য সব সময় পড়ে নেওয়া উচিত। সেটা পড়ে নিয়ে তবেই খাবারটি কেনা ভালো।
ফুড লেবেলে কী কী তথ্য থাকে?
উৎপাদকের নাম ও ঠিকানা
খাবারের নাম
খাবারের পুষ্টিগুণ
খাবারের উপাদান
খাবারের উৎপাদন তারিখ অর্থাৎ ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট
খাবার সংরক্ষণের উপায়
খাবারের এক্সপায়ারি ডেট অর্থাৎ যেই তারিখের পর আর সেটি খাওয়া ঠিক হবে না
খাবারটি আমদানি করা খাবার হলে আমদানিকারীর সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা
যে দেশে খাবারটি তৈরি হয়েছে তার নাম
খাবারের উৎপাদক সংস্থার আইনি তথ্য অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
কেন ফুড লেবেল পড়া জরুরি?
ফুড লেবেলে থাকা তথ্যগুলো থেকে খাবারের গুণমান ও ধরন সম্পর্কে জানা যায়। চাল, ডাল ও সবজি আমরা হাতে নিয়ে দেখতে পারি। এগুলো রাঁধলে গুণমান ভালো না খারাপ বোঝা যায়।
তবে প্যাকেজড খাবারের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ থাকে না। আবার রান্না করে বা চোখে দেখেও যে সব সময় বোঝা যায় তা কিন্তু নয়। এই অবস্থায় খাবারের প্যাকেটের গায়ের লেখাটাই সম্বল।
কোন কোন তথ্য অবশ্যই পড়বেন?
খাবারের উপাদান অবশ্যই পড়া জরুরি। কারণ প্য়াকেট করা খাবারে প্রিজারভেটিভ থাকবেই। তাই এটির পরিমাণ জেনে রাখা জরুরি।
খাবার উৎপাদনের তারিখ পড়তে হবে কারণ কতটা পুরোনো জেনে রাখা ভালো।
কত তারিখের আগে খেতে হবে তা জানতে এক্সপায়ারি ডেট পড়া দরকার।
কীভাবে খাবারটি সংরক্ষণ করতে হবে, সেটা জানা দরকার। নয় তো খাবার নষ্ট হয়ে গেলে তার থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে।
খাবারের পুষ্টিগুণ অর্থাৎ কতটা ফ্যাট, কার্ব ও প্রোটিন শরীরে যাচ্ছে সেটা জানা দরকার।
সূত্র: এবিপি নিউজ
বিজনেস আওয়ার/১৬ মে/ রানা