স্পোর্টস ডেস্ক: লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্রাজিল। এককভাবে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের আয়োজন করবে দেশটি।
আজ শুক্রবার ফিফা কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ও জার্মানিকে হারিয়ে নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের আয়োজক হওয়ার সুযোগ করে নেয় ব্রাজিল।
দশম নারী বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কারা হবেন, তা চূড়ান্ত করতে আজ ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। এতে কংগ্রেসের ১১৯ জন্য সদস্য ব্রাজিলকে ভোট দেয়। আর ইউরোপের দেশগুলো পায় ৭৮ ভোট। ফলে ২০২৭ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার মর্যাদা পায় ব্রাজিল।
ব্রাজিলকে ভোট দেওয়ার বড় কারণ হলো- সেখানে অনেকগুলো স্টেডিয়াম আছে। প্রায় ১০টি স্টেডিয়াম। এসব স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের পুরুষ বিশ্বকাপ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। অপরদিকে ইউরোপের তিন দেশ আয়োজক হলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য কঠিন হয়ে যায়। কারণ, একটি স্টেডিয়াম থেকে আরেকটি স্টেডিয়ামের দূরত্ব অনেক বেশি।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এডনাল্ডো রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘আমরা জানতাম যে দক্ষিণ আমেরিকার নারী ফুটবল এবং নারীদের জন্য বিজয় উদযাপন করব। আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই আমরা নারীদের জন্য সেরা বিশ্বকাপ আয়োজন সম্পন্ন করবো।’
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো বলেছেন, ‘ব্রাজিলের টুর্নামেন্ট হবে এ যাবৎকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ।’
এর আগে আয়োজক দেশ হওয়ার বিড থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। আসর আয়োজন করা তাদের জন্য অতিরিক্ত চাপের হয়ে যাবে মনে করে এমন সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের পুরুষ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এ আসর শেষ হতেই পরের বছর আরও একটি বিশ্বকাপের আয়োজন অবশ্যই তাদের চাপ সৃষ্টি করবে। ফলে নাম প্রত্যাহার করাটাই ছিল যুক্তিযুক্ত।
বিজনেস আওয়ার/১৭ মে/ রানা