ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেসির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায়!

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
  • 98

স্পোর্টস ডেস্ক: মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তিনি যখন বার্সায় যোগ দেন, তখন কাগজে নয়, প্রথম সাক্ষরটা করেছিলেন একটি ন্যাপকিন পেপারে। বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারের সাক্ষর করা ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে বিক্রি হলো প্রায় ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায়।

একটি সাধারণ ন্যাপকিন পেপার। খাওয়ার পর হাত মুছে বিনা সঙ্কোচে ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু সেই ন্যাপকিনেই যদি থাকে লিওনেল মেসির সাক্ষর? তাও আবার একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী বহন করছে যে পেপারটি, তার মূল্য যে আকাশছোঁয়া হবে, সেটা ছিল জানা কথা।

লিওনেল মেসির সাক্ষর করা সেই ঐতিহাসিক ন্যাপকিন পেপারটির বিক্রি হলো সাত লক্ষ ৬২ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায়।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে মেসির বাবা হোর্হে মেসির সঙ্গে একটি হোটেলে আলোচনায় বসেছিলেন বার্সেলোনার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাস। তখনও মেসিকে সই করানোর বিষয়ে কাগজপত্র তৈরি হয়নি। কিন্তু আর্জেন্টাইন ক্ষুদে ফুটবলারের প্রতিভা বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি রেক্সাসের। ততদিনে মেসির নাম এ দিক-ও দিক অল্পবিস্তর ছড়িয়েও পড়েছে। কোনও মতেই এমন ফুটবলারকে সই করানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি রেক্সাচ।

সেই হোটেলের একটি ন্যাপকিন পেপারেই মেসিকে দিয়ে প্রাথমিক সাক্ষর করিয়ে নেন। ন্যাপকিন পেপারটির লেখার বক্তব্য অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ২০০০ সালে বার্সেলোনার হয়ে প্রথমবার কোনও চুক্তিতে সই করেছিলেন মেসি। সেখানে রেক্সাস ছাড়াও হোসে মিঙ্গুয়েলা এবং আর্জেন্টিনায় মেসির এজেন্ট হোরাসিও গ্যাগিওলি ছিলেন। রেক্সাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মেসিকে নিজের তত্ত্বাবধানে যত্নে রাখবেন।

পরে এক সাক্ষাৎকারে রেক্সাস জানিয়েছিলেন, হাতের কাছে আর কিছু না পেয়েই ন্যাপকিন পেপারে সাক্ষর করিয়েছিলেন মেসিকে। মেসির বাবাকে রাজি করিয়েছিলেন এই বলে যে, তার নাম থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে এই সাক্ষরের।

এত দিন সেই ন্যাপকিন অ্যান্ডোরার একটি ভল্টে লুকিয়ে রাখা ছিল। হোরাসিও গ্যাগিওলির তত্বাবধানেই ছিল পেপারটি। এর মধ্যেই মেসি বার্সেলোনার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠেন। বেশ কয়েক বছর হল সেই ক্লাব ছেড়েও দিয়েছেন।

এত দিনে সেই ন্যাপকিন পেপারকে ব্রিটিশ নিলাম হাউজ বোনহামসের মাধ্যমে নিলামে তুললেন গ্যাগিওলি। নিলামে এর ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিলো ৩ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা)। সেই ন্যাপকিন পেপারটি শেষ পর্যন্ত বিক্রি হলো ৭ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ডে।

বিজনেস আওয়ার/১৮ মে/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মেসির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায়!

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তিনি যখন বার্সায় যোগ দেন, তখন কাগজে নয়, প্রথম সাক্ষরটা করেছিলেন একটি ন্যাপকিন পেপারে। বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারের সাক্ষর করা ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে বিক্রি হলো প্রায় ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায়।

একটি সাধারণ ন্যাপকিন পেপার। খাওয়ার পর হাত মুছে বিনা সঙ্কোচে ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু সেই ন্যাপকিনেই যদি থাকে লিওনেল মেসির সাক্ষর? তাও আবার একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী বহন করছে যে পেপারটি, তার মূল্য যে আকাশছোঁয়া হবে, সেটা ছিল জানা কথা।

লিওনেল মেসির সাক্ষর করা সেই ঐতিহাসিক ন্যাপকিন পেপারটির বিক্রি হলো সাত লক্ষ ৬২ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায়।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে মেসির বাবা হোর্হে মেসির সঙ্গে একটি হোটেলে আলোচনায় বসেছিলেন বার্সেলোনার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাস। তখনও মেসিকে সই করানোর বিষয়ে কাগজপত্র তৈরি হয়নি। কিন্তু আর্জেন্টাইন ক্ষুদে ফুটবলারের প্রতিভা বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি রেক্সাসের। ততদিনে মেসির নাম এ দিক-ও দিক অল্পবিস্তর ছড়িয়েও পড়েছে। কোনও মতেই এমন ফুটবলারকে সই করানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি রেক্সাচ।

সেই হোটেলের একটি ন্যাপকিন পেপারেই মেসিকে দিয়ে প্রাথমিক সাক্ষর করিয়ে নেন। ন্যাপকিন পেপারটির লেখার বক্তব্য অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ২০০০ সালে বার্সেলোনার হয়ে প্রথমবার কোনও চুক্তিতে সই করেছিলেন মেসি। সেখানে রেক্সাস ছাড়াও হোসে মিঙ্গুয়েলা এবং আর্জেন্টিনায় মেসির এজেন্ট হোরাসিও গ্যাগিওলি ছিলেন। রেক্সাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মেসিকে নিজের তত্ত্বাবধানে যত্নে রাখবেন।

পরে এক সাক্ষাৎকারে রেক্সাস জানিয়েছিলেন, হাতের কাছে আর কিছু না পেয়েই ন্যাপকিন পেপারে সাক্ষর করিয়েছিলেন মেসিকে। মেসির বাবাকে রাজি করিয়েছিলেন এই বলে যে, তার নাম থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে এই সাক্ষরের।

এত দিন সেই ন্যাপকিন অ্যান্ডোরার একটি ভল্টে লুকিয়ে রাখা ছিল। হোরাসিও গ্যাগিওলির তত্বাবধানেই ছিল পেপারটি। এর মধ্যেই মেসি বার্সেলোনার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠেন। বেশ কয়েক বছর হল সেই ক্লাব ছেড়েও দিয়েছেন।

এত দিনে সেই ন্যাপকিন পেপারকে ব্রিটিশ নিলাম হাউজ বোনহামসের মাধ্যমে নিলামে তুললেন গ্যাগিওলি। নিলামে এর ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিলো ৩ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা)। সেই ন্যাপকিন পেপারটি শেষ পর্যন্ত বিক্রি হলো ৭ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ডে।

বিজনেস আওয়ার/১৮ মে/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: