স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাকালে ক্রিকেট ফেরার পর থেকে কোয়ারেন্টিন আর বায়ো বাবল এর মধ্যে থেকেই খেলতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। লম্বা সময় প্রিয়জনদের ছেড়ে ক্রিকেট নিয়ে থাকতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন ক্রিকেটাররা।
এতদিন এসব নিয়ে কথা বলেননি কেউ। কোয়ারেন্টিন আর বায়ো বাবলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাটাতে হয়েছে ইংলিশ ও ক্যারিবিয়ানদের। করোনা পরবর্তী ক্রিকেট শুরু হয় ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ দিয়ে।
ইংল্যান্ড টানা চার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে। ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজের পর ক্যারিবিয়ানরা সিপিএল টি-টোয়েন্টি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এরপরই আইপিএল খেলতে আরব আমিরাতে।
করোনায় স্বাধীন জীবন হারিয়ে সবচেয়ে বেশি হাঁপিয়ে উঠেছেন ইংলিশ ও ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা। সবার আগে সেটা প্রকাশও করলেন তারাই।
ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক এউইন মরগান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার মনে করেন, কোয়ারেন্টিন ও বায়ো বাবলের মধ্যে টানা ক্রিকেট খেলা অসম্ভব। বছর জুড়ে এভাবে খেললে প্রভাব পড়বে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর।
মরগান বলেন, বছর জুড়ে এরকম পরিস্থিতির মধ্যে থেকে খেলা অসম্ভব। সবার সুরক্ষার কথা ভেবেই এসব নিয়ম করতে হয়েছে। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা উচিত। অনেক খেলোয়াড় সফর থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিলে আমি অবাক হবো না।
জেসন হোল্ডার বলেন, ক্রিকেটে ফেরাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে পারফরমেন্সের জন্য মানসিকভাবে চাঙা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডে দুইমাস বায়ো বাবলের মধ্যে ছিলাম। মাত্র দুই দিন বার্বাডোজে কাটিয়ে দেড় মাসের জন্য সিপিএল খেলতে চলে যাই। সিপিএল শেষ করে ৪-৫ দিন পরই আইপিএলে ডাক পেলাম। এক প্রকার আইসোলেশনের মধ্যেই রয়েছি।
পরিবারকে সঙ্গে নেয়ার অনুমতি নেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। প্রিয়জনদের ছাড়া লম্বা সময় দূরে থাকা কঠিন। ৫ মাস আমি বার্বডোজকে ভালো করে দেখি না। জানি না আবার কবে প্রিয় জায়গায় ফিরতে পারবো।
বিজনেস আওয়ার/২০ অক্টোবর, ২০২০/এ