ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইরানি প্রেসিডেন্ট নিহত

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • 123

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব আরোহী। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তের কাছে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ছিল বেল ২১২ মডেলের।

কোথায় তৈরি?
বিধ্বস্ত বেল হেলিকপ্টারটির (বর্তমানে বেল টেক্সট্রন) বয়স সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, এই মডেলটি কানাডার সামরিক বাহিনীর জন্য ১৯৬০’র দশকে তৈরি করা হয়েছিল।

মার্কিন সামরিক প্রশিক্ষণ নথি অনুসারে, হেলিকপ্টারটি ১৯৭১ সালে সামনে আনা হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সেটি দ্রুত গ্রহণ করেছিল।

ব্যবহার কীসে?
এই আকাশযানগুলোকে যে কোনো উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যায়। মানুষ বা পণ্য পরিবহন তো বটেই, অস্ত্র সজ্জিত করে যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহারের জন্যও এগুলো উপযোগী।

রোববার বিধ্বস্ত ইরানি হেলিকপ্টারটি সরকারি যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। তবে বেল হেলিকপ্টারের সবশেষ সংস্করণ সুবারু বেল ৪১২ মডেলটি পুলিশের কাজে, চিকিৎসাগত পরিবহন, সৈন্য পরিবহন, জ্বালানি শিল্প এবং অগ্নিনির্বাপণের কাজেও ব্যবহার উপযোগী বলে প্রচার করা হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির সঙ্গে সার্টিফিকেশন নথি অনুসারে, হেলিকপ্টারটি ক্রুসহ ১৫ জন আরোহী বহন করতে পারে।

ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্টসহ ছয় জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু ছিলেন।

কারা ব্যবহার করে?
এই আকাশযানগুলো তৈরি করে মার্কিন কোম্পানি বেল হেলিকপ্টার। বিশ্বজুড়ে অনেক সরকারি-বেসরকারি সংস্থাই সেগুলো ব্যবহার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে শুরু করে থাইল্যান্ড পুলিশের মতো বাহিনীগুলোতে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

ফ্লাইটগ্লোবালের ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড এয়ার ফোর্সেস ডিরেকটরি অনুযায়ী, ইরানের নৌ ও বিমানবাহিনীর কাছে মোট ১০টি বেল হেলিকপ্টার রয়েছে। তবে, দেশটির সরকার কতগুলো পরিচালনা করে, তা নিশ্চিত নয়।

আগে ঘটেছে দুর্ঘটনা?
ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি অলাভজনক সংস্থার মতে, বেল হেলিকপ্টারের সবশেষ প্রাণঘাতী দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটির উপকূলে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি বেল ২১২ হেলিকপ্টার।

আর ইরানে সবশেষ ২০১৮ সালে একটি বেল ২১২ দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছিল। একজন হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে উদ্ধারে কাজ করছিল সেটি। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চারজন।

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/২০ মে/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইরানি প্রেসিডেন্ট নিহত

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব আরোহী। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তের কাছে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ছিল বেল ২১২ মডেলের।

কোথায় তৈরি?
বিধ্বস্ত বেল হেলিকপ্টারটির (বর্তমানে বেল টেক্সট্রন) বয়স সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, এই মডেলটি কানাডার সামরিক বাহিনীর জন্য ১৯৬০’র দশকে তৈরি করা হয়েছিল।

মার্কিন সামরিক প্রশিক্ষণ নথি অনুসারে, হেলিকপ্টারটি ১৯৭১ সালে সামনে আনা হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সেটি দ্রুত গ্রহণ করেছিল।

ব্যবহার কীসে?
এই আকাশযানগুলোকে যে কোনো উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যায়। মানুষ বা পণ্য পরিবহন তো বটেই, অস্ত্র সজ্জিত করে যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহারের জন্যও এগুলো উপযোগী।

রোববার বিধ্বস্ত ইরানি হেলিকপ্টারটি সরকারি যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। তবে বেল হেলিকপ্টারের সবশেষ সংস্করণ সুবারু বেল ৪১২ মডেলটি পুলিশের কাজে, চিকিৎসাগত পরিবহন, সৈন্য পরিবহন, জ্বালানি শিল্প এবং অগ্নিনির্বাপণের কাজেও ব্যবহার উপযোগী বলে প্রচার করা হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির সঙ্গে সার্টিফিকেশন নথি অনুসারে, হেলিকপ্টারটি ক্রুসহ ১৫ জন আরোহী বহন করতে পারে।

ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্টসহ ছয় জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু ছিলেন।

কারা ব্যবহার করে?
এই আকাশযানগুলো তৈরি করে মার্কিন কোম্পানি বেল হেলিকপ্টার। বিশ্বজুড়ে অনেক সরকারি-বেসরকারি সংস্থাই সেগুলো ব্যবহার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে শুরু করে থাইল্যান্ড পুলিশের মতো বাহিনীগুলোতে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

ফ্লাইটগ্লোবালের ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড এয়ার ফোর্সেস ডিরেকটরি অনুযায়ী, ইরানের নৌ ও বিমানবাহিনীর কাছে মোট ১০টি বেল হেলিকপ্টার রয়েছে। তবে, দেশটির সরকার কতগুলো পরিচালনা করে, তা নিশ্চিত নয়।

আগে ঘটেছে দুর্ঘটনা?
ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি অলাভজনক সংস্থার মতে, বেল হেলিকপ্টারের সবশেষ প্রাণঘাতী দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটির উপকূলে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি বেল ২১২ হেলিকপ্টার।

আর ইরানে সবশেষ ২০১৮ সালে একটি বেল ২১২ দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছিল। একজন হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে উদ্ধারে কাজ করছিল সেটি। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চারজন।

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/২০ মে/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: