স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপের আগে লজ্জাজনক এক হার হজম করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
গতকাল মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এটিই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অফিসিয়াল ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। আর তাতেই হেরে বসলো শান্তবাহিনী।
বাংলাদেশের লজ্জাজনক এই হারের কারণ কী? চোখ বন্ধ করে বলা যায়, চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা। টপঅর্ডারদের ব্যাটিং দৈন্যদশা যেন কাটছেই না। আর কবে নাগাদ এই দশা কাটবে, তা হয়তো কারোরই জানা নেই।
ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের কাছে হারের কারণে দারুণভাবে আশাহত হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্ত। ক্রিকেটে তুলনামূলক নবীন একটি দল পেয়েও কিছুই করতে পারেননি লিটন দাস। বরাবরের মতোই ব্যর্থ অধিনায়ক শান্ত।
শেষদিকে হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ যদি ৬৭ রানের জুটি না করতেন, তাহলে বাংলাদেশের হারের আকারটা আরও বড় হতে পারতো।
হারের পর বাজে ব্যাটিং নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক শান্ত। বিশেষ করে টপঅর্ডারের হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শান্ত বলেন, ‘(ব্যাটিং) নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, প্রত্যেক ব্যাটারই তাদের দক্ষতা নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবাই জানি, টপঅর্ডারকে ভালো খেলতে হবে। ব্যাটিং ইউনিটের খারাপ করার জন্য আমরা সবাই দায়ী। ব্যাটাররা এটা নিয়ে কাজ করছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় কাজ করছি। আমরা আশা করি, পরের ম্যাচ থেকে ভালোভাবে ফিরে আসবো।’
ব্যাটাররা সবসময়ই ভালো করার চেষ্টা করে উল্লেখ করে শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিটি ব্যাটার ইচ্ছা করে চেষ্টা করে। আমি যখন পরের ম্যাচে ব্যাট করবো, তখন আমি ১১ বলে ১৫-২০ রান করতে চাই না। আমি আরও বল খেলতে চাই এবং আরও রান করতে চাই।’
বাংলাদেশের অন্য বড় দুর্বলতা হলো পাওয়ারপ্লে-তে রান না পাওয়া। গতকালও এমনটি দেখা গেছে। ৬ ওভারে রান হয়েছে ৩৭। প্রতিপক্ষ দল বিবেচনায় এই রান আরও বেশি হওয়াটাই ছিল প্রত্যাশিত।
ম্যাচের শুরু নিয়ে শান্ত বলেন, ‘হ্যাঁ, সবসময় উন্নতির জায়গা থাকে। ব্যাটাররা তাদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছে। আশা করি, আসন্ন বিশ্বকাপে তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
বিজনেস আওয়ার/২২ মে/রানা