ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিউশনের নামে মৌলিকত্ব নষ্ট করব না

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
  • 102

বিনোদন ডেস্কঃ একমাত্র ছেলে নিবিড় দুর্ঘটনায় পড়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় গান থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি গানে ফিরেছেন কুমার বিশ্বজিৎ। বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন শিল্পী। মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ

কুমারকেমন আছেন?

ভালো আছি কিছুটা।

নিবিড়ের শারীরিক অবস্থার দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। এখন সব কিছু বুঝতে পারে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, খুব শিগগির কথাও বলতে পারবে নিবিড়। আমি আর ওর মা একটা বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করে আছি, ছেলেটা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক।

অনেকেই নিবিড়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন, আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।

কানাডা-বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন আপনি। এখন কোথায় আছেন?

গত সপ্তাহে কানাডা এসেছি। নিবিড়কে সময় দিতে হয়।

ওর মা একা পেরে ওঠে না। দেশে কিছু কাজ পড়ে গিয়েছিল বলে যেতে হয়েছিল। জুনের মাঝামাঝিতে আরেকবার যাব, বেশ কিছু পেন্ডিং কাজ আছে। সেগুলো করে জুনের শেষের দিকে ফিরব। তারপর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে যাব।

এভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যেই তো থাকতে হচ্ছে, কিছু করার নেই।

এবার এসে তো গানও করেছেন…

হ্যাঁ। আমাকে নিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করবে গান বাংলা, অক্টোবরের শেষ শুক্রবার। সেখানে আমার গাওয়া ৫০টি গান নতুন করে প্রকাশ করা হবে। উপস্থিত থাকবেন সংগীতাঙ্গনের নতুন-পুরনো সবাই। এবার গিয়ে ওই ৫০টি গানের কয়েকটিতে কণ্ঠ দিয়ে এলাম। এখনো বাকি অনেক গান, জুনে গিয়ে সেগুলো রেকর্ড করব।

প্রতিটি গানেরই কি আপনি সংগীতায়োজন করেছেন?

হ্যাঁ। আগের তুলনায় এখন মিউজিক অনেকটাই বদলে গেছে। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে সুরটা এক রেখে সংগীতায়োজনে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। তবে পুরনো শ্রোতারা হতাশ হবেন না, এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি। আমারই তো গান, ফিউশনের নামে মৌলিকত্ব নষ্ট করব না।

আপনার তো প্রচুর গান। সেখান থেকে ৫০টি গান বাছাই করলেন কিভাবে?

এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি সব সময় চেষ্টা করেছি ভালো গান গাওয়ার। নিজের পছন্দ না হলে কারো অনুরোধে কখনো গান করিনি। তাই সব কটি গানই প্রিয়। সেখান থেকে ৫০টি বাছাই করতে গিয়ে ঝামেলাই হয়েছে। কিছু শ্রোতাপ্রিয়, কিছু আমার প্রিয়, আবার কিছু আড়ালে পড়ে যাওয়া গান তালিকায় রেখেছি।
আড়ালে পড়ে যাওয়া বলতে বুঝিয়েছি, আগে তো এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য প্ল্যাটফরম ছিল না। ছিল শুধু ক্যাসেট, অনেক সময় শ্রোতাদের হাত পর্যন্ত সেটা পৌঁছত না। গানগুলো শ্রোতাদের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছলে কালজয়ী হয়েও যেতে পারত।

বলেছেন, ৫০টি গান প্রকাশের দিন বড় আয়োজন করবে গান বাংলা। কী কী থাকবে সেই আয়োজনে?

এখনই বলতে চাই না। আইডিয়া চুরি হয়ে যায়। যেটা দুই বছর আগে ভেবেছিলাম এখন দেখি অন্যরা সেটা করে ফেলছে। নিবিড় দুর্ঘটনায় পড়ার পর আমি গানে সেভাবে ফিরতে পারিনি। এই সময়ের মধ্যে দেখি ভালো ভালো আইডিয়া অন্যরা করে ফেলেছে। তাদের দোষ দিচ্ছি না, যেটা আমি ভেবেছিলাম সেটা অন্যরাও ভাবতে পারে। তবে গান বাংলার বিষয়টি বলতে চাই না। শুধু এটুকু জেনে রাখেন, বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাসে আগে কোনো শিল্পীকে নিয়ে এমন আয়োজন হয়নি।​​​

বিজনেস আওয়ার/২২ মে/রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ফিউশনের নামে মৌলিকত্ব নষ্ট করব না

পোস্ট হয়েছে : ০২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

বিনোদন ডেস্কঃ একমাত্র ছেলে নিবিড় দুর্ঘটনায় পড়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় গান থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি গানে ফিরেছেন কুমার বিশ্বজিৎ। বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন শিল্পী। মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ

কুমারকেমন আছেন?

ভালো আছি কিছুটা।

নিবিড়ের শারীরিক অবস্থার দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। এখন সব কিছু বুঝতে পারে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, খুব শিগগির কথাও বলতে পারবে নিবিড়। আমি আর ওর মা একটা বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করে আছি, ছেলেটা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক।

অনেকেই নিবিড়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন, আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।

কানাডা-বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন আপনি। এখন কোথায় আছেন?

গত সপ্তাহে কানাডা এসেছি। নিবিড়কে সময় দিতে হয়।

ওর মা একা পেরে ওঠে না। দেশে কিছু কাজ পড়ে গিয়েছিল বলে যেতে হয়েছিল। জুনের মাঝামাঝিতে আরেকবার যাব, বেশ কিছু পেন্ডিং কাজ আছে। সেগুলো করে জুনের শেষের দিকে ফিরব। তারপর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে যাব।

এভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যেই তো থাকতে হচ্ছে, কিছু করার নেই।

এবার এসে তো গানও করেছেন…

হ্যাঁ। আমাকে নিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করবে গান বাংলা, অক্টোবরের শেষ শুক্রবার। সেখানে আমার গাওয়া ৫০টি গান নতুন করে প্রকাশ করা হবে। উপস্থিত থাকবেন সংগীতাঙ্গনের নতুন-পুরনো সবাই। এবার গিয়ে ওই ৫০টি গানের কয়েকটিতে কণ্ঠ দিয়ে এলাম। এখনো বাকি অনেক গান, জুনে গিয়ে সেগুলো রেকর্ড করব।

প্রতিটি গানেরই কি আপনি সংগীতায়োজন করেছেন?

হ্যাঁ। আগের তুলনায় এখন মিউজিক অনেকটাই বদলে গেছে। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে সুরটা এক রেখে সংগীতায়োজনে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। তবে পুরনো শ্রোতারা হতাশ হবেন না, এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি। আমারই তো গান, ফিউশনের নামে মৌলিকত্ব নষ্ট করব না।

আপনার তো প্রচুর গান। সেখান থেকে ৫০টি গান বাছাই করলেন কিভাবে?

এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি সব সময় চেষ্টা করেছি ভালো গান গাওয়ার। নিজের পছন্দ না হলে কারো অনুরোধে কখনো গান করিনি। তাই সব কটি গানই প্রিয়। সেখান থেকে ৫০টি বাছাই করতে গিয়ে ঝামেলাই হয়েছে। কিছু শ্রোতাপ্রিয়, কিছু আমার প্রিয়, আবার কিছু আড়ালে পড়ে যাওয়া গান তালিকায় রেখেছি।
আড়ালে পড়ে যাওয়া বলতে বুঝিয়েছি, আগে তো এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য প্ল্যাটফরম ছিল না। ছিল শুধু ক্যাসেট, অনেক সময় শ্রোতাদের হাত পর্যন্ত সেটা পৌঁছত না। গানগুলো শ্রোতাদের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছলে কালজয়ী হয়েও যেতে পারত।

বলেছেন, ৫০টি গান প্রকাশের দিন বড় আয়োজন করবে গান বাংলা। কী কী থাকবে সেই আয়োজনে?

এখনই বলতে চাই না। আইডিয়া চুরি হয়ে যায়। যেটা দুই বছর আগে ভেবেছিলাম এখন দেখি অন্যরা সেটা করে ফেলছে। নিবিড় দুর্ঘটনায় পড়ার পর আমি গানে সেভাবে ফিরতে পারিনি। এই সময়ের মধ্যে দেখি ভালো ভালো আইডিয়া অন্যরা করে ফেলেছে। তাদের দোষ দিচ্ছি না, যেটা আমি ভেবেছিলাম সেটা অন্যরাও ভাবতে পারে। তবে গান বাংলার বিষয়টি বলতে চাই না। শুধু এটুকু জেনে রাখেন, বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাসে আগে কোনো শিল্পীকে নিয়ে এমন আয়োজন হয়নি।​​​

বিজনেস আওয়ার/২২ মে/রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: