ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুম থেকে উঠে চোখে ঝাপসা দেখছেন, স্ট্রোকের লক্ষণ নয় তো?

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • 145

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: স্ট্রোকের কথা শুনলেই সবাই আঁতকে ওঠেন। স্ট্রোকের সঙ্গে যোগ আছে হার্টেরও, আবার মস্তিষ্কেও এটি ঘটতে পারে। তবে গরমের দাপটে কিংবা শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়লে স্ট্রোক চোখেও হতে পারে। তবে এ বিষয়ে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই।

চোখের বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখ হলো শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ইন্দ্রিয়। ঘুম বাদে দিনের বেশিরভাগ সময়ে চোখ খোলা থাকে। আর বাতাসে মিশে থাকা ধুলাবালি ও জীবাণুর সঙ্গে গরম হাওয়ার আঁচও সরাসরি চোখে এসে লাগে। সেখান থেকেই শুরু হয় ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ প্রদাহ।

চোখে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে চোখের প্রেশার বেড়ে যায়। রেটিনা রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে। স্ট্রোক কিন্তু একই সঙ্গে দু’টি চোখে হয় না। তবে রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসায় দেরি হয়ে গেলে দু’টি চোখেরই দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে।

তাছাড়া চোখের সঙ্গে মস্তিষ্কেরও সরাসরি যোগ আছে। দীর্ঘদিন ধরে রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও কিন্তু তার প্রভাব চোখের উপর এসে পড়তে পারে। ফলে যখন তখন হতে পারে চোখের স্ট্রোক।

চোখের স্ট্রোকে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?

চোখ লাল হয়ে ফুলে পানি পড়তে পারে।

রেটিনার উপর রক্তজালিকা ভেসে উঠতে পারে। কিছুক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধতেও দেখা যায়।

চোখে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়।

সাদা দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মনে হতে পারে তার গায়ে যেন ধূসর ধূলিকণা ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘ফ্লোটার্স’ বলা হয়।

চোখে স্ট্রোক হলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। কারও ক্ষেত্রে চোখের নির্দিষ্ট একটি অংশ ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। আবার কারও ক্ষেত্রে পুরো দৃষ্টিশক্তিই ঝাপসা হয়ে যায়। পরিস্থিতি জটিল হলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকিও থাকে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোখে স্ট্রোক হলে তা রোগী বুঝতে পারেন না। কারণ চোখের মধ্যে বিশেষ কোনও কষ্ট বা যন্ত্রণা হয় না। তবে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।

অনেক সময়ে রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রেটিনা উপর তা ছড়িয়ে পড়ে। তাই চোখ রক্তবর্ণ হয়ে যায়।

চোখের স্ট্রোক প্রতিরোধ করণীয়

চোখ ভালো রাখতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ বাদাম ও বীজ খেতে হবে।

প্রতিদিনের ডায়েটে বিটা-ক্যারোটিন যুক্ত খাবার যেমন গাজর, পালং শাক, ব্রোকলি, মিষ্টি আলু, স্ট্রবেরি রাখতে পারে। চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।

চোখে সরাসরি রোদ লাগাবেন না। রোদ থেকে চোখ দুটি বাঁচাতে রোদচশমা ব্যবহার করার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা।

চোখকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখকে বিশ্রাম দিন ও চোখের ব্যায়াম করুন।

বাজার থেকে ভাল মানের ‘আইমাস্ক’ কিনে মাখতে পারেন। না হলে দিনের শেষে চোখের উপর দুই টুকরো শসা রেখে দিন কিছুক্ষণ। দেখবেন প্রশান্তি মিলছে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি নিউজ

বিজনেস আওয়ার/২৭ মে/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঘুম থেকে উঠে চোখে ঝাপসা দেখছেন, স্ট্রোকের লক্ষণ নয় তো?

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: স্ট্রোকের কথা শুনলেই সবাই আঁতকে ওঠেন। স্ট্রোকের সঙ্গে যোগ আছে হার্টেরও, আবার মস্তিষ্কেও এটি ঘটতে পারে। তবে গরমের দাপটে কিংবা শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়লে স্ট্রোক চোখেও হতে পারে। তবে এ বিষয়ে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই।

চোখের বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখ হলো শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ইন্দ্রিয়। ঘুম বাদে দিনের বেশিরভাগ সময়ে চোখ খোলা থাকে। আর বাতাসে মিশে থাকা ধুলাবালি ও জীবাণুর সঙ্গে গরম হাওয়ার আঁচও সরাসরি চোখে এসে লাগে। সেখান থেকেই শুরু হয় ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ প্রদাহ।

চোখে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে চোখের প্রেশার বেড়ে যায়। রেটিনা রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে। স্ট্রোক কিন্তু একই সঙ্গে দু’টি চোখে হয় না। তবে রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসায় দেরি হয়ে গেলে দু’টি চোখেরই দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে।

তাছাড়া চোখের সঙ্গে মস্তিষ্কেরও সরাসরি যোগ আছে। দীর্ঘদিন ধরে রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও কিন্তু তার প্রভাব চোখের উপর এসে পড়তে পারে। ফলে যখন তখন হতে পারে চোখের স্ট্রোক।

চোখের স্ট্রোকে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?

চোখ লাল হয়ে ফুলে পানি পড়তে পারে।

রেটিনার উপর রক্তজালিকা ভেসে উঠতে পারে। কিছুক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধতেও দেখা যায়।

চোখে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়।

সাদা দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মনে হতে পারে তার গায়ে যেন ধূসর ধূলিকণা ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘ফ্লোটার্স’ বলা হয়।

চোখে স্ট্রোক হলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। কারও ক্ষেত্রে চোখের নির্দিষ্ট একটি অংশ ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। আবার কারও ক্ষেত্রে পুরো দৃষ্টিশক্তিই ঝাপসা হয়ে যায়। পরিস্থিতি জটিল হলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকিও থাকে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোখে স্ট্রোক হলে তা রোগী বুঝতে পারেন না। কারণ চোখের মধ্যে বিশেষ কোনও কষ্ট বা যন্ত্রণা হয় না। তবে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।

অনেক সময়ে রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রেটিনা উপর তা ছড়িয়ে পড়ে। তাই চোখ রক্তবর্ণ হয়ে যায়।

চোখের স্ট্রোক প্রতিরোধ করণীয়

চোখ ভালো রাখতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ বাদাম ও বীজ খেতে হবে।

প্রতিদিনের ডায়েটে বিটা-ক্যারোটিন যুক্ত খাবার যেমন গাজর, পালং শাক, ব্রোকলি, মিষ্টি আলু, স্ট্রবেরি রাখতে পারে। চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।

চোখে সরাসরি রোদ লাগাবেন না। রোদ থেকে চোখ দুটি বাঁচাতে রোদচশমা ব্যবহার করার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা।

চোখকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখকে বিশ্রাম দিন ও চোখের ব্যায়াম করুন।

বাজার থেকে ভাল মানের ‘আইমাস্ক’ কিনে মাখতে পারেন। না হলে দিনের শেষে চোখের উপর দুই টুকরো শসা রেখে দিন কিছুক্ষণ। দেখবেন প্রশান্তি মিলছে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি নিউজ

বিজনেস আওয়ার/২৭ মে/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: