বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: রাফায় বিমান হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ার অনুরোধে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই বৈঠক হবে রুদ্ধদ্বার হবে।
রোববার (২৬ মে) রাফার তাল আস-সুলতান শহরে অবস্থিত একটি তাঁবুতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। এর আগে জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটির বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়।
ইসরায়েলের এই বিমান হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, নিরপরাধ বেসামরিক মানুষরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের এই কাজের খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। গাজায় আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। সেখানকার মানুষ যে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে, তার সমাপ্তি ঘটা উচিত।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই-কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে হামলার যেসব ছবি সামনে এসেছে, তা ভয়াবহ। ইসরায়েল যেভাবে যুদ্ধ করছে, তাতে প্রচুর সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর রোববারের বিমান হামলা বুঝিয়ে দিয়েছে যে গাজায় কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।
ভলকার তুর্ক আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) রাফায় হামলা বন্ধের রায় দিলেও ইসরায়েল তা মানছে না। তাছাড়া ইসরায়েলের যুদ্ধ কৌশল ও পদ্ধতিতে এখনো তেমন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েনি। আমি ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ মেনে রাফায় আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও রাফায় হামলা ও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (২৭ মে) সংসদে কথা বলার সময় নেতানিয়াহু বলেন, রোববারের বিমান হামলাটি ‘দুঃখজনক ভুল’ ছিল। তবে এর জন্য আমি যুদ্ধ থামিয়ে দিচ্ছি না। আমাদের সব লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
তিনি আরও বলেন, অবশ্যই গাজার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইসসায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফের) কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের সেনাবাহনী সাধারণ নাগরিকদের এই যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে দূরে রাখার, নিরাপদে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বিজনেস আওয়ার/২৮ মে/ হাসান