ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা ১২ দিন ক্রেতাহীন এশিয়াটিক, কারণ জানতে চান বিনিয়োগকারীরা

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
  • 147

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চলতি বছর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার গত ১২ মে পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এই বৃদ্ধির কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২৪ মার্চ এবং ১২ মে কোম্পানিটিকে শোকজ করেছে। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ গতানুগতিকভাবে বলেছে, তাদের কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কোনো কারণ তাদের জানা নেই।

এখানেই শেষ নয়, কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে ডিএসই সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে কোন কোন বিনিয়োগকারী শেয়ারটি বেশি কেনা-বেচা করেছে, তাদের পোর্টফোলিওদের অর্থের লেনদেন ঠিক আছে কি-না; সেই বিষয়ে ডিএসই অযথা হয়রানি করেছে। এমনকি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর গ্রাহকদের কাগজ-পত্র নিয়েও অনেক টানাটানি করেছে ডিএসই।

১২ মে যখন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭৭ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়ায়, তখন আবারও ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানিটিকে শোকজ কর হয় এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে গ্রাহকদের কাগজ-পত্র নিয়ে টানাটানি করা হয়। যার ফলে ১৩ মে থেকেই শেয়ারটি দরে পতন শুরু হয়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১২ কর্মদিবস ধরে কোম্পানিটির দর ধারাবাহিকভাবে কমছে। এই ১২ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ২৫.৩২ শতাংশ। যার ফলে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যখন কোনো কোম্পানির শেয়ার দর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে তখন কোম্পানিটিকে শোকজ করা হয়; দর পতনে না আসা পর্যন্ত ডিএসই ক্ষান্ত হয় না। কিন্তু যখন ধারাবাহিকভাবে দর কমতে থাকে, তখন কেন শোকজ করা হয় না। তখন কেন ডিএসই জানতে চায় না, কেন শেয়ারটির দর ধারাবাহিকভাবে কমছে?

বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন, কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার সময় তা শোকজ দিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়, তাহলে বাজার কিভাবে স্বাভাবিক হবে। শেয়ার দর বাড়ার সময় যদি কারসাজির গন্ধ খোঁজা হয়, তাহলে গত ১২ দিন ধরে দর কমার ক্ষেত্রে কারা জড়িত, কেন কারণ খোঁজা হয় না? কোনো কারণ ছাড়াই কেন টানা ১২ দিন শেয়ারটির ক্রেতা সঙ্কট হতে পারে? ডিএসইর এমন বিতর্কিত আচরণ কবে শেষ হবে, এমন ক্ষুব্দ প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের।

বিজনেস আওয়ার/২৯ মে/এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

টানা ১২ দিন ক্রেতাহীন এশিয়াটিক, কারণ জানতে চান বিনিয়োগকারীরা

পোস্ট হয়েছে : ০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চলতি বছর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার গত ১২ মে পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এই বৃদ্ধির কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২৪ মার্চ এবং ১২ মে কোম্পানিটিকে শোকজ করেছে। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ গতানুগতিকভাবে বলেছে, তাদের কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কোনো কারণ তাদের জানা নেই।

এখানেই শেষ নয়, কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে ডিএসই সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে কোন কোন বিনিয়োগকারী শেয়ারটি বেশি কেনা-বেচা করেছে, তাদের পোর্টফোলিওদের অর্থের লেনদেন ঠিক আছে কি-না; সেই বিষয়ে ডিএসই অযথা হয়রানি করেছে। এমনকি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর গ্রাহকদের কাগজ-পত্র নিয়েও অনেক টানাটানি করেছে ডিএসই।

১২ মে যখন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭৭ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়ায়, তখন আবারও ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানিটিকে শোকজ কর হয় এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে গ্রাহকদের কাগজ-পত্র নিয়ে টানাটানি করা হয়। যার ফলে ১৩ মে থেকেই শেয়ারটি দরে পতন শুরু হয়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১২ কর্মদিবস ধরে কোম্পানিটির দর ধারাবাহিকভাবে কমছে। এই ১২ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ২৫.৩২ শতাংশ। যার ফলে কোম্পানিটির শেয়ার দর নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যখন কোনো কোম্পানির শেয়ার দর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে তখন কোম্পানিটিকে শোকজ করা হয়; দর পতনে না আসা পর্যন্ত ডিএসই ক্ষান্ত হয় না। কিন্তু যখন ধারাবাহিকভাবে দর কমতে থাকে, তখন কেন শোকজ করা হয় না। তখন কেন ডিএসই জানতে চায় না, কেন শেয়ারটির দর ধারাবাহিকভাবে কমছে?

বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন, কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার সময় তা শোকজ দিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়, তাহলে বাজার কিভাবে স্বাভাবিক হবে। শেয়ার দর বাড়ার সময় যদি কারসাজির গন্ধ খোঁজা হয়, তাহলে গত ১২ দিন ধরে দর কমার ক্ষেত্রে কারা জড়িত, কেন কারণ খোঁজা হয় না? কোনো কারণ ছাড়াই কেন টানা ১২ দিন শেয়ারটির ক্রেতা সঙ্কট হতে পারে? ডিএসইর এমন বিতর্কিত আচরণ কবে শেষ হবে, এমন ক্ষুব্দ প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের।

বিজনেস আওয়ার/২৯ মে/এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: