ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তবুও ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আলু!

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
  • 57

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। আলুর দাম নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারদের এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের দোষারোপ করছেন। সরকারি ঘোষণার পরও দাম না কমায় ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।

বুধবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরের খুচরা বাজার এবং মিরপুর ১ নম্বরের পাইকারি বাজার সুত্রে জানা যায়, খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা বিক্রির কথা থাকলেও প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। আর পাইকারি পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকার পরিবর্তে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৯ টাকা দরে।

মিরপুর ১৩ নম্বর কাঁচাবাজারের বেশির ভাগ দোকানে আলুর সরবরাহ কম। এই বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। এ বাজারের এক আলু ক্রেতা বলেন, বাজারে আলুর সরবরাহ কম। ৪৮ টাকা দরে আলু কিনেছি। এখানে সরকার নির্ধারিত দামে কেউই আলু বিক্রি করছে না।

এ বাজারের খুচরা বিক্রেতারা আলুর দাম বেশির জন্য পাইকারদের দোষারোপ করে বলেন, আমাদের কেনা বেশি তাই বেচাও বেশি। তারওপর ঘাটতি আছে, যাতায়াত খরচ আছে।

মিরপুর ১ নম্বর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এখানে পাইকারি পর্যায়ে ৩৫-৩৯ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে এখানে কমপক্ষে এক পাল্লা (৫ কেজি) আলু কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৪৪ টাকা করে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে আলু বিক্রির জন্য কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের দোষারোপ করছেন। তারা বলছেন, কোল্ডস্টোরেজ মালিক মালিকরা কম দামে আলু না দিলে আমরা কিভাবে কমে বিক্রি করবো। কোল্ডস্টোরেজগুলো আলুর দাম তাদের কাছে ৩২/৩৩ টাকা দরে রাখছেন বলে দাবি করেন এসব ব্যবসায়ীরা।

সরকার আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতিকেজি ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এসব ব্যবসায়ীরা পাইকারি ও খুচরা বাজারের আগে কোল্ডস্টোরেজগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি জানান। কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাজারে আলু কম সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, আলুর দাম কমাতে হলে আগে গোড়ায় হাত দিতে হবে। কোল্ডস্টোরেজগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা উচিত। কোল্ডস্টোরেজগুলো আলুর দাম বেশি রাখলে অথবা আলুর মজুদ থাকা সত্ত্বেও সরবরাহ না করলে আলু উদ্ধার করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া উচিত।

খুচরা ক্রেতা বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে আলুর দাম বেশি। এটা খুবই দুঃখজনক। সাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত দাম বাজারে কার্যকর করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

বিজনেস আওয়ার/২১ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তবুও ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আলু!

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। আলুর দাম নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারদের এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের দোষারোপ করছেন। সরকারি ঘোষণার পরও দাম না কমায় ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।

বুধবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরের খুচরা বাজার এবং মিরপুর ১ নম্বরের পাইকারি বাজার সুত্রে জানা যায়, খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা বিক্রির কথা থাকলেও প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। আর পাইকারি পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকার পরিবর্তে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৯ টাকা দরে।

মিরপুর ১৩ নম্বর কাঁচাবাজারের বেশির ভাগ দোকানে আলুর সরবরাহ কম। এই বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। এ বাজারের এক আলু ক্রেতা বলেন, বাজারে আলুর সরবরাহ কম। ৪৮ টাকা দরে আলু কিনেছি। এখানে সরকার নির্ধারিত দামে কেউই আলু বিক্রি করছে না।

এ বাজারের খুচরা বিক্রেতারা আলুর দাম বেশির জন্য পাইকারদের দোষারোপ করে বলেন, আমাদের কেনা বেশি তাই বেচাও বেশি। তারওপর ঘাটতি আছে, যাতায়াত খরচ আছে।

মিরপুর ১ নম্বর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এখানে পাইকারি পর্যায়ে ৩৫-৩৯ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে এখানে কমপক্ষে এক পাল্লা (৫ কেজি) আলু কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৪৪ টাকা করে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে আলু বিক্রির জন্য কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের দোষারোপ করছেন। তারা বলছেন, কোল্ডস্টোরেজ মালিক মালিকরা কম দামে আলু না দিলে আমরা কিভাবে কমে বিক্রি করবো। কোল্ডস্টোরেজগুলো আলুর দাম তাদের কাছে ৩২/৩৩ টাকা দরে রাখছেন বলে দাবি করেন এসব ব্যবসায়ীরা।

সরকার আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতিকেজি ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এসব ব্যবসায়ীরা পাইকারি ও খুচরা বাজারের আগে কোল্ডস্টোরেজগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি জানান। কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাজারে আলু কম সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, আলুর দাম কমাতে হলে আগে গোড়ায় হাত দিতে হবে। কোল্ডস্টোরেজগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা উচিত। কোল্ডস্টোরেজগুলো আলুর দাম বেশি রাখলে অথবা আলুর মজুদ থাকা সত্ত্বেও সরবরাহ না করলে আলু উদ্ধার করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া উচিত।

খুচরা ক্রেতা বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে আলুর দাম বেশি। এটা খুবই দুঃখজনক। সাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত দাম বাজারে কার্যকর করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

বিজনেস আওয়ার/২১ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: