ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারানো ফর্ম কি খুঁজে পাবেন অধিনায়ক শান্ত?

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • 115

স্পোর্টস ডেস্ক: একজন অধিনায়ক যখন ব্যাট বা বল হাতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, তখন তিনি হয়ে ওঠেন প্রকৃত অধিনায়ক; কিন্তু তিনি নিজেই যদি থাকেন অফ ফর্মে, ম্যাচের পর ম্যাচ যদি তার ব্যাট থেকে রান বের না হয়ে আসে, তখন সেই অধিনায়ক নিজেই চলে যান অনেক বড় ডিপ্রেশনের মধ্যে। একের পর এক চাপ তৈরি হতে থাকে তার ওপর।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এখন ঠিক এই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। দীর্ঘদিন তার ব্যাটে রান নেই। একের পর এক ম্যাচে হচ্ছেন ব্যর্থ। সর্বশেষ কবে তিনি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন, তা হয়তো শান্ত নিজেই ভুলে গেছেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও শান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আউট হয়েছেন মাত্র ৭ রান করে। নেতৃত্বের বেলায়ও খুব একটা মুন্সিয়ানা যে দেখাতে পারছেন তাও নয়। মোট কথা, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এখন পর্যন্ত সবদিক দিয়েই ব্যর্থ। এবার কী তিনি পারবেন হারানো ফর্ম খুঁজে পেতে? পারবেন তার স্বাভাবসিদ্ধ ব্যাটিং নিয়ে ফিরে আসতে?

স্কুল ক্রিকেট থেকে শুরু হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর পথচলা। এরপর তিনি আলো ছড়ান বয়সভিত্তিক পর্যায়েও। ওই ধাপ পার করে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। এরপর ট্রল, সমালোচনার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে শান্ত এখন জাতীয় দলের অধিনায়ক।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই খেলছে বাংলাদেশ দল। ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার বিসিবির নজরে ছিলেন অনেকদিন ধরেই। তাদের প্রায় সব ধরনের প্রোগ্রামের অংশই ছিলেন শান্ত।

২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পথচলা শুরু শান্তর। পরের বছর ওয়ানডে ও ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। দীর্ঘ সময় ধরে অফ ফর্মে থাকার পর ২০২২ সালে এসে ক্যারিয়ারে নতুন প্রাণ পান শান্ত।

ওই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ইনিংসে ১৮০ রান করে ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২০২৩ সালের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে বেশি ৫১৬ রান করেন শান্ত। এরপর থেকে বেশ ভালো সময়ই কাটছিল তার।

এর মধ্যে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হয়ে ভারতে যান ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে। বিশ্বকাপের পর সাকিব দায়িত্ব ছেড়ে দিলে তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক করা হয় শান্তকে।

এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শান্ত (বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ পর্যন্ত)। ১০৮.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৮০৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১৫৩ ম্যাচে ৩২৪২ রান করেছেন শান্ত। বিশ্বকাপে তার ঘাড়ে অধিনায়কত্বের সঙ্গে ব্যাটিংয়েরও বড় দায়িত্ব।

তিন নম্বরে ব্যাট করেন শান্ত। এই পজিশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে তিনে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না তিনি। রান করলেও টি-টোয়েন্টি সুলভ হচ্ছে না। বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ খেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। শান্ত কী পারবেন পরের ম্যাচগুলোতে তুখোড় নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যাট হাতে সব সমালোচনার জবাব দিতে?

বিজনেস আওয়ার/১০ মে/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

হারানো ফর্ম কি খুঁজে পাবেন অধিনায়ক শান্ত?

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: একজন অধিনায়ক যখন ব্যাট বা বল হাতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, তখন তিনি হয়ে ওঠেন প্রকৃত অধিনায়ক; কিন্তু তিনি নিজেই যদি থাকেন অফ ফর্মে, ম্যাচের পর ম্যাচ যদি তার ব্যাট থেকে রান বের না হয়ে আসে, তখন সেই অধিনায়ক নিজেই চলে যান অনেক বড় ডিপ্রেশনের মধ্যে। একের পর এক চাপ তৈরি হতে থাকে তার ওপর।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এখন ঠিক এই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। দীর্ঘদিন তার ব্যাটে রান নেই। একের পর এক ম্যাচে হচ্ছেন ব্যর্থ। সর্বশেষ কবে তিনি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন, তা হয়তো শান্ত নিজেই ভুলে গেছেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও শান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আউট হয়েছেন মাত্র ৭ রান করে। নেতৃত্বের বেলায়ও খুব একটা মুন্সিয়ানা যে দেখাতে পারছেন তাও নয়। মোট কথা, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এখন পর্যন্ত সবদিক দিয়েই ব্যর্থ। এবার কী তিনি পারবেন হারানো ফর্ম খুঁজে পেতে? পারবেন তার স্বাভাবসিদ্ধ ব্যাটিং নিয়ে ফিরে আসতে?

স্কুল ক্রিকেট থেকে শুরু হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর পথচলা। এরপর তিনি আলো ছড়ান বয়সভিত্তিক পর্যায়েও। ওই ধাপ পার করে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। এরপর ট্রল, সমালোচনার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে শান্ত এখন জাতীয় দলের অধিনায়ক।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই খেলছে বাংলাদেশ দল। ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার বিসিবির নজরে ছিলেন অনেকদিন ধরেই। তাদের প্রায় সব ধরনের প্রোগ্রামের অংশই ছিলেন শান্ত।

২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পথচলা শুরু শান্তর। পরের বছর ওয়ানডে ও ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। দীর্ঘ সময় ধরে অফ ফর্মে থাকার পর ২০২২ সালে এসে ক্যারিয়ারে নতুন প্রাণ পান শান্ত।

ওই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ইনিংসে ১৮০ রান করে ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২০২৩ সালের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে বেশি ৫১৬ রান করেন শান্ত। এরপর থেকে বেশ ভালো সময়ই কাটছিল তার।

এর মধ্যে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হয়ে ভারতে যান ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে। বিশ্বকাপের পর সাকিব দায়িত্ব ছেড়ে দিলে তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক করা হয় শান্তকে।

এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শান্ত (বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ পর্যন্ত)। ১০৮.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৮০৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১৫৩ ম্যাচে ৩২৪২ রান করেছেন শান্ত। বিশ্বকাপে তার ঘাড়ে অধিনায়কত্বের সঙ্গে ব্যাটিংয়েরও বড় দায়িত্ব।

তিন নম্বরে ব্যাট করেন শান্ত। এই পজিশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে তিনে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না তিনি। রান করলেও টি-টোয়েন্টি সুলভ হচ্ছে না। বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ খেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। শান্ত কী পারবেন পরের ম্যাচগুলোতে তুখোড় নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যাট হাতে সব সমালোচনার জবাব দিতে?

বিজনেস আওয়ার/১০ মে/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: