ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সারাদেশের দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়ক চিহ্নিত করে সংস্কার করা হচ্ছে’

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
  • 37

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশের যেসব স্থানের সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে, সেসব স্থান চিহ্নিত করে সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্কুল শিশুদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। দুর্ঘটনা কমাতে সড়কের বাঁক কমানো হয়েছে। ধীর গতিতে যান-চলাচলের সড়কে আলাদা লেন করা হয়েছে। পথচারীদের সর্তক থাকতে হবে।  কোনো দুর্ঘটনা হলে কেউ দায় নেবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বেশির ভাগ জায়গায় ওভারপাস বা আন্ডারপাস করে দিচ্ছি, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে। এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান আছে। ভবিষ্যতে এগুলো আরো সম্প্রসারণ করা হবে।

৪৫৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার লেন বা কোথাও ছয় লেন এবং তার সঙ্গে সঙ্গে ধীরগতিসম্পন্ন গাড়ি যেন চলাচল করতে পারে বা ভ্যান-রিকশা এগুলো চলাচল করতে পারে, সে ব্যবস্থা করেই লেনগুলো উন্নত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে আমি অনুরোধ করব, সড়কে যোগাযোগে যেমন নিরাপত্তা প্রয়োজন, সেইসঙ্গে সড়ক নির্মাণের সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেন বজায় থাকে, সেদিকেও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের কালভার্ট করতে হয়, ব্রিজ করতে হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, সড়ক নির্মাণের সময় অনেকে প্রশ্ন করেন, অমুক দেশে খরচ এত কম, আমাদের দেশে এত বেশি কেন। তাদের অনুরোধ করব, আমাদের দেশের মাটি আপনারা একটু পরীক্ষা করে দেখবেন। আর যে দেশের কথা বলবেন, তাদের মাটিটাও পরীক্ষা করে দেখবেন যে সেখানে সড়ক নির্মাণ করতে কত খরচ হয়, আর আমাদের দেশে কত খরচ হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আশু করণীয় কী, সেগুলোর ক্ষেত্রে যেমন সুনির্দিষ্ট করে কাজ করে যাচ্ছি, সেইসঙ্গে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নিয়েছি। ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কী রকম বাংলাদেশ হবে, কী করে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত করব—এরই মধ্যে আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পথে যাত্রা শুরু করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের কাজে একটু ধীরগতি হয়েছে। তবুও আমরা মনে করি, আমরা এগুলো অর্জন করে যেতে পারব। আমরা সেভাবেই কাজ করছি এবং এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি।

বিজনেস আওয়ার/২২অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘সারাদেশের দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়ক চিহ্নিত করে সংস্কার করা হচ্ছে’

পোস্ট হয়েছে : ১২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশের যেসব স্থানের সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে, সেসব স্থান চিহ্নিত করে সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্কুল শিশুদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। দুর্ঘটনা কমাতে সড়কের বাঁক কমানো হয়েছে। ধীর গতিতে যান-চলাচলের সড়কে আলাদা লেন করা হয়েছে। পথচারীদের সর্তক থাকতে হবে।  কোনো দুর্ঘটনা হলে কেউ দায় নেবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বেশির ভাগ জায়গায় ওভারপাস বা আন্ডারপাস করে দিচ্ছি, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে। এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান আছে। ভবিষ্যতে এগুলো আরো সম্প্রসারণ করা হবে।

৪৫৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার লেন বা কোথাও ছয় লেন এবং তার সঙ্গে সঙ্গে ধীরগতিসম্পন্ন গাড়ি যেন চলাচল করতে পারে বা ভ্যান-রিকশা এগুলো চলাচল করতে পারে, সে ব্যবস্থা করেই লেনগুলো উন্নত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে আমি অনুরোধ করব, সড়কে যোগাযোগে যেমন নিরাপত্তা প্রয়োজন, সেইসঙ্গে সড়ক নির্মাণের সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেন বজায় থাকে, সেদিকেও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের কালভার্ট করতে হয়, ব্রিজ করতে হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, সড়ক নির্মাণের সময় অনেকে প্রশ্ন করেন, অমুক দেশে খরচ এত কম, আমাদের দেশে এত বেশি কেন। তাদের অনুরোধ করব, আমাদের দেশের মাটি আপনারা একটু পরীক্ষা করে দেখবেন। আর যে দেশের কথা বলবেন, তাদের মাটিটাও পরীক্ষা করে দেখবেন যে সেখানে সড়ক নির্মাণ করতে কত খরচ হয়, আর আমাদের দেশে কত খরচ হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আশু করণীয় কী, সেগুলোর ক্ষেত্রে যেমন সুনির্দিষ্ট করে কাজ করে যাচ্ছি, সেইসঙ্গে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নিয়েছি। ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কী রকম বাংলাদেশ হবে, কী করে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত করব—এরই মধ্যে আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পথে যাত্রা শুরু করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের কাজে একটু ধীরগতি হয়েছে। তবুও আমরা মনে করি, আমরা এগুলো অর্জন করে যেতে পারব। আমরা সেভাবেই কাজ করছি এবং এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি।

বিজনেস আওয়ার/২২অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: