ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৯ বলে ম্যাচ জইয়ের রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
  • 74

স্পোর্টস ডেস্ক: খেলা ১২০ বলের। সেখানে ১০১ বল হাতে রেখে জয়! অবিশ্বাস্য হলেও সেটিই আজ করে দেখিয়েছে চলতি বিশ্বকাপের আসর থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা ইংল্যান্ড। ওমানকে ৪৭ রানের অলআউট করে দিয়ে ১০১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে কেউ এত বেশি বল হাতে রেখে জিততে পারেনি। এর আগে দ্রুততম জয়ের রেকর্ডটি ছিল ৯০ বল হাতে রেখে। সেটি শ্রীলঙ্কার। ২০১৪ সালের আসরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯০ বল হাতে রেখে জিতেছিল লঙ্কানরা।

ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই বলে ২টি ছক্কায় হাঁকান ওপেনার ফিল সল্ট (৩ বলে ১২)। বিলাল খানের পরের বলে বোল্ড হন তিনি। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন উইল জ্যাকস। জস বাটলারের ৮ বলে ২৪ আর জনি বেয়ারস্টোর ২ বলে ৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে দাপুটে জয় পায় ইংল্যান্ড।

আজ ওমানের বিপক্ষে বাঁচামরার ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ইংলিশরা। সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বড় ব্যবধানে জিততে হবে, সেটি আগে থেকেই জানা বাটলারের দলের।

সেই লক্ষ্যে টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। চলতি বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই রেকর্ডটি চতুর্থ সর্বনিম্ন।

এর আগে গেল ৮ জুন উগান্ডাকে ৩৯ রানে অলআউট করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চলতি বিশ্বকাপ, এমনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসেও এটি সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেকর্ডটিও ৩৯ রানের। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে অলআউট করেছিল শ্রীলঙ্কা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা লজ্জার রেকর্ডটি নেদারল্যান্ডসের। এখানেও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ সালের আসরে ডাচদের মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা।

এদিন ২৪ রান পর্যন্ত ওমানের রান ছিল ২৪। এরপর বাকি ২৩ রান করতে গেছে ৮ উইকেট। দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল শোয়াইব খান। ২৩ বলে খেলে ১১ রান করেছেন তিনি। বাকিরা কেবল আসলেন আর গেলেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১১ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন আদিল রশিদ। তিনটি করে উইকেট নেন জোফরা আরচার ও মার্ক উড।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুন/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

১৯ বলে ম্যাচ জইয়ের রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড

পোস্ট হয়েছে : ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: খেলা ১২০ বলের। সেখানে ১০১ বল হাতে রেখে জয়! অবিশ্বাস্য হলেও সেটিই আজ করে দেখিয়েছে চলতি বিশ্বকাপের আসর থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা ইংল্যান্ড। ওমানকে ৪৭ রানের অলআউট করে দিয়ে ১০১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে কেউ এত বেশি বল হাতে রেখে জিততে পারেনি। এর আগে দ্রুততম জয়ের রেকর্ডটি ছিল ৯০ বল হাতে রেখে। সেটি শ্রীলঙ্কার। ২০১৪ সালের আসরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯০ বল হাতে রেখে জিতেছিল লঙ্কানরা।

ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই বলে ২টি ছক্কায় হাঁকান ওপেনার ফিল সল্ট (৩ বলে ১২)। বিলাল খানের পরের বলে বোল্ড হন তিনি। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন উইল জ্যাকস। জস বাটলারের ৮ বলে ২৪ আর জনি বেয়ারস্টোর ২ বলে ৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে দাপুটে জয় পায় ইংল্যান্ড।

আজ ওমানের বিপক্ষে বাঁচামরার ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ইংলিশরা। সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বড় ব্যবধানে জিততে হবে, সেটি আগে থেকেই জানা বাটলারের দলের।

সেই লক্ষ্যে টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। চলতি বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই রেকর্ডটি চতুর্থ সর্বনিম্ন।

এর আগে গেল ৮ জুন উগান্ডাকে ৩৯ রানে অলআউট করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চলতি বিশ্বকাপ, এমনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসেও এটি সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেকর্ডটিও ৩৯ রানের। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে অলআউট করেছিল শ্রীলঙ্কা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা লজ্জার রেকর্ডটি নেদারল্যান্ডসের। এখানেও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ সালের আসরে ডাচদের মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা।

এদিন ২৪ রান পর্যন্ত ওমানের রান ছিল ২৪। এরপর বাকি ২৩ রান করতে গেছে ৮ উইকেট। দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল শোয়াইব খান। ২৩ বলে খেলে ১১ রান করেছেন তিনি। বাকিরা কেবল আসলেন আর গেলেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১১ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন আদিল রশিদ। তিনটি করে উইকেট নেন জোফরা আরচার ও মার্ক উড।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুন/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: